Header Ads

Header ADS

ইসলাম শব্দের অর্থ কি?।What is the meaning of the word Islam?

 ইসলাম শব্দের অর্থ কি

ইসলাম শব্দটা এটা এসেছে আরবি শব্দ সালাম থেকে (سلام) যার অর্থ শান্তি। যার আরেকটা মূল শব্দ (يستسلم) আত্মসমর্পণ (استسلموا لله) আল্লাহর / ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণকরা। এককথায় এর অর্থ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। যদি কেউ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করে তাহলে সে হবে একজন মুসলিম। ইসলাম শব্দটি পবিত্র কুরআনে কয়েকবার এসেছে।নবী করিম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর হাদিস উল্লেখ আছে। সুরা বাকারার 208 আয়াত ও সূরা আল ইমরান এর 64 19 নম্বর আয়াত। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে আরবের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ধর্ম প্রচার করেন ।

 ইসলামে মুসলিম কাদেরকে বলা হয়

কুরআন ইসলামের  সর্বশেষ মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়ে থাকে। মুসলিম শব্দটি পবিত্র কুরআনে কয়েকবার এসেছে। সূরা আল-ইমরানের 85 নং আয়াত মুসলিম শব্দের কথা উল্লেখ আছে কুরআন আল্লাহর বাণী এবং এই বাণী সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রেরিত হয়। পবিত্র হাদীসের প্রাপ্ত তার নির্দেশ আদেশ কাজ শিক্ষার ভিত্তিতে কোরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়। আর মুসলিম হল সেই লোক যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করে। বর্তমানে মুসলিম বলতে একেশ্বরবাদী ইব্রাহিমীয় ধর্ম ইসলামের অনুসারীদের বা ইসলাম পালনকারীদের বুঝানো হয় বা যারা ইসলামের অনুসরণ করে তাদের মুসলমান বা মুসলিম হিসেবে পরিগণিত করা হয়। মুসলিম এবং মুসলমান শব্দ দুটি বাংলা পরিভাষায় সমান ভাবে ব্যবহার করা হয়। মুসলমানদের সংখ্যা আনুমানিক 140 কোটি এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী। বর্তমানের সমগ্র বিশ্বজুড়ে এদের বসবাস বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মুসলমানরা বাস করে, আরবে ধর্মের গোড়াপত্তন হলেও অধিকাংশ মুসলমান অনারব, আরব দেশের মুসলমান পৃথিবীর সর্ব মোট মুসলমানের 20% যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপ আমেরিকাতেও দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম এই ইসলাম। 


 ইসলামে প্রবেশের নিয়ম

হে ঈমানদারগণ!তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেশ করোএবং শয়তানের অনুসারী হইও না।কেননা সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার 208। 

অর্থাৎ কোন প্রকার ব্যতিক্রম ও সংরক্ষণ ছাড়াই, কিছু অংশ কে বাদ না দিয়ে, এবং কিছু অংশকে সংরক্ষিত না রেখে জীবনের সমগ্র পরিসরটাই ইসলামের আওতাধীন করো । তোমাদের চিন্তাভাবনা, আদর্শ, মতবাদ, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, আচরণ, ব্যবহারিক জীবন, লেনদেন এবং তোমাদের সমগ্র প্রচেষ্টা ও কর্মের পরিসরকে পুরোপুরি ইসলামের কর্তৃত্বাধীনে আন। তোমাদের জীবনের কিছু অংশে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলবে আর কিছু অংশে ইসলামী অনুসরণের বাইরে রাখবে তা যেন না হয়। 


সূরা আল ইমরান এর 64 নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন।


ইসলাম আহলে কিতাবদের কিভাবে ডেকেছে


“বল :হে আহলে কিতাব! এস এমন একটি কথার দিকে, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই ধরনের। তা হচ্ছে: আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো বন্দেগী ও দাসত্ব করবো না। তার সাথে কাউকে শরিক করবো না। আর আমাদের কেউ আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেও নিজেদের রব হিসেবে গ্রহণ করব না। যদি তারা এই দাওয়াত গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হয়, তাহলে পরিষ্কার বলে দাও: তোমরা সাক্ষী থাকো, আমরা অবশ্যই একনিষ্ঠ মুসলিম ( একমাত্র আল্লাহর বন্দেগী ও আনুগত্যকারী) 

সূরা আল ইমরান এর ১৯ নম্বর আয়াত।

আল্লাহর নিকট ইসলাম একমাত্র দিন-জীবনবিধান। যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তারা এই দিন থেকে সরে গিয়ে যেসব বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছ, সেগুলো অবলম্বনের এছাড়া আর কোন কারণই ছিল না যে, প্রকৃত জ্ঞান এসে যাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের ওপর বাড়াবাড়ি করার জন্য এমনটি করেছে। আর যে কেউ আল্লাহর বিধান ও নির্দেশের আনুগত্য করতে অস্বীকার করে, তার কাছ থেকে হিসেব নিতে আল্লাহর মোটেও দেরি হয়না-১৯ । 

আরো জানুন > মহান আল্লাহ তা'আলা গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি আদেশ


ইসলাম আমাদের কি শিক্ষা দেয় 

অর্থাৎ আল্লাহর কাছে মানুষের জন্য একটিমাত্র জীবন ব্যবস্থা ও একটি মাত্র জীবনবিধান সঠিক ও নির্ভুল বলে গৃহীত। সেটি হচ্ছে, মানুষ আল্লাহকে নিজের মালিক ও মাবুদ বলে স্বীকার করে নেবে এবং তার এবাদ্‌ বন্দেগী ও দাসত্বের মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সুপর্দ করে দেবে। তার বন্দেগী করার পদ্ধতি নিজে আবিষ্কার করবে না।বরং তিনি নিজের নবী ও রাসূলগণের মাধ্যমে যে হেদায়াত ও বিধান পাঠিয়েছেন কোন প্রকার কমবেশি না করে তার অনুসরণ করবে। এই চিন্তা ও কর্ম পদ্ধতির নাম ‘’ইসলাম’’ আর বিশ্ব-জাহানের স্রষ্টার ও প্রভুর নিজের সৃষ্টিকূল ও প্রজা সাধারণের জন্য ইসলাম ছাড়া অন্য কোন কর্মপদ্ধতির বৈধতার স্বীকৃতি না দেওয়া ও পুরোপুরি ন্যায়সঙ্গত।মানুষ তার নির্বুদ্ধিতার কারণে নাস্তিকবাদ থেকে নিয়ে শিরক ও মূর্তিপূজা পর্যন্ত যে কোন মতবাদ ও যে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য বৈধ মনে করতে পারে কিন্তু বিশ্ব-জাহানের প্রভুর দৃষ্টিতে এগুলো নিছক বিদ্রোহ ছাড়া আর কিছুই নয়। 

আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ার যে কোন অঞ্চলে যে কোন যুগে যে নবী এসেছেন, তার দিনই ছিল ইসলাম।  দুনিয়ার যে কোন জাতির ওপর যে কিতাব নাযিল হয়েছে, তাই ইসলামের শিক্ষা দান করেছে। এই আসল দিনকে বিকৃত করে এবং তার মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে যেসব ধর্ম ও মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে, তাদের জন্য উদ্ভবের কারণ এছাড়া আর কিছুই ছিল না য্‌ লুকেরা নিজের বৈধ সীমা অতিক্রম করে অধিকার, স্বার্থ ও বিশিষ্টতা অর্জন করতে চেয়েছে। আর এসব অর্জন করতে গিয়ে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো আসল দিনের আকীদা-বিশ্বাস, মূলনীতি ও বিস্তারিত বিধান পরিবর্তন করে ফেলেছে।


হে নবী! বলঃ’’ আমরা আল্লাহকে মানি, আমাদের উপর অবতীর্ণ শিক্ষাকে মানি,ইব্রাহি্‌ ইসমাইল,  ইসাক ইয়াকুব, ও ইয়াকুব সন্তানদের উপর অবতীর্ণ শিক্ষাকেও মানি এবংমুসা, ইশা ও অন্যান্য নবীদের কে তাদের রবের পক্ষ থেকে যে হেদায়াত দান করা হয় তার ওপর ঈমান রাখি ।আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না ।এবং আল্লাহর হুকুমের অনুগত( মুসলিম) ৮৪। এ আনুগত্য( ইসলাম) ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় সে পদ্ধতি কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ব্যর্থ, আশাহত ও বঞ্চিত।.৮৫।


অর্থাৎ কোন নবীকে মানবো ও কোন নবীকে মানবো না এবং কোন নবীকে মিথ্যা ও কোন নবীকে সত্য বলবো, এটা আমাদের পদ্ধতি নয়। আমরা হিংসা- বিদেশ ও জাহেলি আন্তরিকতা মুক্ত। দুনিয়ার যেখানেই আল্লাহ যে বান্দাই আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্যের পয়গাম নিয়ে এসেছেন আমরা তার সত্যতার সাক্ষ্য দিচ্ছি ।

এখানে আহলে কিতাবদের কে বুঝানো হয়েছে যে: এমন একটি বিশ্বাসের প্রশ্নে একমত হয়ে যাও, যার প্রতি আমরা ঈমান এনেছি এবং তোমরা ও এর নির্ভুলতা অস্বীকার করতে পারো না। তোমাদের নবীদের এই বিশ্বাসের কথাই প্রচারিত হয়েছে। তোমাদের পবিত্র কিতাবগুলোতে এর শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

 

একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে ইসলাম একটা নতুন ধর্ম, যার উৎপত্তি হয়েছে চৌদ্দশ' বছর আগে এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন এই ধর্মের প্রবর্তক৷ প্রকৃত পক্ষে ইসলামের উৎপত্তি হয়েছে সৃষ্টির সূচনা লগ্নে৷ যখন মানুষ এই পৃথিবীতে পা রেখেছিল৷ আর মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নয় বরং তিনি বলেন সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী৷



No comments

Powered by Blogger.