kalima tayyiba shahadat | কালেমা আরবি বাংলা উচ্চারণ অনুবাদ ব্যাখ্যা
kalima tayyiba | কালেমা তাইয়্যেবা
لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ
আল্লাহ ছাড়া আর কেউ সার্বভৌমত্বের মালিক নয়, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রসূল ।
kalima shahadat bangla (কালেমায়ে শাহাদাত)
أَشْهَدُ أنْ لا إلَٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَأشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ : আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা রিকালাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু |
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে ,আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ এবাদত এর উপযুক্ত না এবং আল্লাহর কোন অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং আল্লাহর প্রেরিত রাসুল।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কালেমার দাওয়াত শুরু করলেন তখন তিনি দেখলেন। তৎকালীন মানুষের মধ্যে ধর্মীয় কিছু আকিদা বিশ্বাস রয়েছে।
তিনি দেখলেন হযরত মূসা আলাইহিস সাল্লাম এর উম্মত বলে দাবি করে সেই ইহুদিরা বিশ্বাস করত যে আল্লাহ তাদের জন্যই বেহেশ্ত তৈরি করে রেখেছ… আর দুজক তৈরি করেছেন ইহুদিদের যারা শত্রু শুধুমাত্র তাদের জন্য। তারা আরো অনেক করে যে যেহেতু তাদের বংশে বহু নবী-রাসূল পেরন করেছেন।তাই বেহেশতে তাদের বংশের লোকেদের জন্য আল্লাহ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।
পরকালে তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই, আর তারা এই বিশ্বাস পোষণ করতো যে পরকালে তাদের কোন ভয়ের কারণ নেই, তারা মনে করতো যে কর্মফল পরকালে নয় পৃথিবীতেই হয়ে থাকে।অর্থাৎ মৃত্যুর পরে পরকালে তাদের জন্য ভয়ের কোন কারণ নেই এই বিশ্বাসী তাদেরকে বেপরোয়া করে ঘরে তুলে। আর পরকালের ভয় তাদের অন্তর থেকে দূর হয়ে গেলে তারা হয়ে পড়ে শক্ত জালেম।
আর খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করত, হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে ও শেষ রসূল হিসেবে মেনে নেবে তাদের জন্য পরকালের আর কোন ভয় নেই।
কারণ তাদের অন্তরে এই বিশ্বাস জন্ম নিয়েছিলো যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম নিজে শোলে বৃদ্ধ হয়ে তার সমস্ত উম্মতের গুনাহের শাস্তি নিজেই ভোগ করেছেন কাজেই তার উম্মতের আর কোন ভয় থাকার কথা নয়। এই বিশ্বাস তাদেরকেও নির্ভীক এবং বেপরোয়া ভাবে গড়ে তোলে।
তাদের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বাস ছিল যে, মানুষের জীবনে দুটি অধ্যায়
১। দ্বীনদারী বা ধর্মীয় অংশ আর
২। দুনিয়াদারি অংশ।
তাদের এই বিশ্বাস এখনো রয়েছে যে, মানুষ 2 প্রভু সৃষ্টিকর্তার অধীন। ক) ধর্মীয় প্রদান ও খ) রাষ্ট্রপ্রধান।রাষ্ট্রপ্রধান শুধু রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলবে তিনি ধর্ম ব্যবস্থার অপর কোনো কথা বলতে পারবেন না আর যে ধর্ম প্রদান সে ধর্মীয় ব্যাপারে কথা বলতে পারবেন তিনি রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন কথা বলতে পারবেন। এই আকিদার কারণে তাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা হল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা।
তারা মনে করে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলার জন্য এটাই উত্তম পথ এবং এ পথেই সমাজে শান্তি কায়েম হতে পা-রে তাদের বিশ্বাস যে রাষ্ট্রের কোনো আইন কানুন ক্ষেত্রে ধর্ম প্রধান যদি বাধার সৃষ্টি করে তা যদি রাষ্ট্রপ্রধান মেনে নিতে না পারে তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান ও ধর্ম প্রদানের মধ্যে সৃষ্টি হবে দ্বন্দ্ব, আর সেই দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়বে গোটা জাতির মধ্যে, ফলে শান্তি ব্যাহত হবে চরমভাবে কাজেই তারা তাদের আকিদা বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনের দুটি অংশের জন্য 2 মহাপ্রভু ঠিক করে নিয়েছেন এবং তাদের কাজের বা অধিকারের একটা সীমানা ভাগ করে দিয়েছে সেই সীমানা তাদের কোন প্রোগ্রাম করতে পারবে না।
কিন্তু ইসলাম এই দুই জাতির কোনো ধারণার সঙ্গে একমত নয়, না ইহুদিদের সঙ্গে আর না খ্রিস্টানদের সঙ্গে, মুসলমানদের ধারণা কর্মের জন্য এ দুনিয়ায়, আর কর্মফল পরকালে মুসলমানদের বিশ্বাস একজনের পাপের শাস্তি ভোগ করবে না। প্রভু আমাদের একাধিক নয়, তিনি একাই একমাত্র প্রভু।জুড়ালো স্বীকারোক্তি হচ্ছে কালেমা তাইয়্যেবায় ।
এই কালেমার মধ্যে ২৪ অক্ষর রয়েছে এবং সাতটি শব্দের মধ্যে শিক্ষা রয়েছে কমপক্ষে২৪*৭=১৬৮ টিএই কালেমার মধ্যে ইলাহ নামে যে শব্দ রয়েছে এই শব্দটি আল কুরআনে ১৪৭ টি আয়াতের মধ্যে এসেছে। আল্লাহ এই শব্দটি কে সঠিক ভাবে বোঝানোর জন্যই, এতগুলো আয়াতের মধ্যে শব্দ ব্যবহার করা
হয়েছে।
কালেমার মধ্যে দুটি অংশ রয়েছে
প্রথম অংশে বলা হয়েছে لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এই এ অংশ অন্যের নয়, এখানে শুধুমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব স্বীকার করা হয় এবং مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এই অংশে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হলেন তার নির্ধারিত পাঠানো রসূল, Appointed
Authority. যেসকল ব্যাপারে আল্লাহ তাঁর রসূলকে যে ক্ষমতা প্রদান করেছেন সেই সব ক্ষেত্রে অন্যের কিছুই বলার কোন অধিকার নেই ।আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন আল্লাহর বার্তাবাহক/Messenger of allah.
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি, লা ইলাহা মানে কোন ইলাহ নেই, ইল্লাল্লাহ আল্লাহ ছাড়া।অর্থাৎ এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে।
لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এখানে দুইটি পার্ট রয়েছে এর অর্থ হলো ‘’তয়াতুহু ফি-মা আমর’’ আল্লাহ যা কিছু নির্দেশ দিয়েছেন তার আনুগত্য করা। ওসতেনাবু মা-না-হা আনহা ওয়াজাজার, যেগুলো থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন যেগুলো থেকে আল্লাহ দূরে থাকতে বলেছেন সেগুলো থেকে দূরে থাকা । মহান আল্লাহ তাআলা এই বাক্যের দ্বারা তাগুতকে হটিয়ে হক প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন, তার দিনকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন, তাওহীদ কে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন,
সাহাবায়ে কেরাম দাওয়াত দিলে যে আসর হত সে আসর আমাদের দাওয়াতে হয় না৷ সেই পাওয়ার (Power) সেই স্পিড আমাদের দাওয়াতে নেই৷ মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কালেমার দাওয়াত দিয়ে ফেরাউনের মোকাবেলা করতে হয়েছে, আবার আমাদের জাতির পিতা ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাওয়াত দিয়ে নমরুদের মোকাবেলা করতে হয়েছে৷ সমস্ত নবীদের মোকাবেলা করতে হয়েছে৷ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মোকাবেলা করেছেন৷ বর্তমানে কালেমার অনেক আলেম-ওলামা ফুল পাচ্ছে, দাওয়াত পাচ্ছে টাকা পাচ্ছে, আবার কিছু আলেম জেলহাজতেও আছে, আবার কাউকে হিজরত করতে হয়েছে৷
তাহলে এই
দাওয়াত এর মধ্যে ডিফারেন্স বা ভিন্নতা কোথায়?
আল্লাহর পয়গম্বর এরা
যেভাবে দাওয়াত পেশ করেছেন সেভাবে কি দাওয়াত পেশ করা হচ্ছে? ঈমানকে কি আমরা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারি?
No comments
Post a Comment