The five commands of Allah which can never be disobeyed। আল্লাহর পাঁচটি আদেশ যা কখনো অমান্য করা যায় না।
ধর্ম কি
আমরা ইসলামকে কেবল একটি ধর্ম মনে করি। দ্বীন তথা জীবনব্যবস্থা মনে করিনা। আমরা শুধু এতোটুকুই বুঝি যে, আমাদের আকায়েদ ঠিক করা হবে। নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাত তাকাজা পূরণ করা হবে'। আর আমাদের কিছু সামাজিক প্রথা: যেমন: 2 ঈদ পালন, জুমার নামাজ আদায়, ঈদুল আজহার কুরবানী দেওয়া, বাচ্চাদের আকিকা করা। মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা। বিবাহের সময় ইজাব কবুল করা, যৌতুক প্রদান না করা। এই হচ্ছে আমাদের দিন। বরং এটাকে দিন বলে না; এটাকে বলে ধর্ম। পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের ব্যাপারে কোনো ধারনাই নেই আমাদের। বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় আমরা এতটা বুঝে গেছি যে, দিনকে প্রতিষ্ঠা করা, দ্বীনকে বিজয়ী বিজয়ী করার চিন্তাভাবনা আমাদের মনে একেবারেই নেই। আলেমদের কাছেও মনে হয় না এগুলো কি আশ্চর্য কথাবার্তা বলছে।
ইংরেজরা বলেছিল আইন থাকবে আমাদের হাতে। ফৌজদারি আমাদের হবে। নাগরিক আইন আমাদের হাতে থাকবে। বিধান আমাদের হাতে থাকবে। হা, তোমরা নামাজ পড়তে পারো, রোজা রাখতে পারো। তোমাদের ধর্মের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। বরং ইংরেজরা তো আরো সুযোগ দিয়ে বলেছিল। ``পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে তোমরা যা চাও করতে পারো’’। একসময় এ কথাগুলো মেনে নিতে আমরা কোন আপত্তি করিনি। অথচ এই এসব বিষয়গুলো মেনে নেয়াতে ইসলামের যে কি ক্ষতি হয়েছে তা কে বল ইসলামের সঠিক জ্ঞান দাড়ি ব্যক্তিবর্গ বলতে পারে।
আজ মুসলিম শাসিত দেশগুলোতেও অধিকাংশ ইউরোপের পারিবারিক আইন মান্য করে থাকে। সর্বপ্রথম এটা করেছিল কামাল আতাতুর্ক। তখন ইউরোপের পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল যে, কী আশ্চর্য জাতি! উত্তম জীবনব্যবস্থা আমাদের কাছে অথচ পারিবারিক আইন ও তারা আমাদের থেকে নিয়ে চলে। রোমান নীতি থেকে নিজেদের পারিবারিক নীতি গ্রহণ করে। আবার বলে উত্তম নীতি আমাদের কাছে।
অর্ধেক দ্বীন
ইংরেজদের আসার পর থেকে আমাদের ওলামায়ে কেরাম শুধু “ক্বালাল্লাহ/ক্বলার রসূল’’ দিয়ে মাদ্রাসা চালানো। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটা মানতে হবে যে তারা দ্বীনের ব্যাপারে অনেক খেদমত করেছেন করছেন, অন্যথায় হয়তো আমাদের মসজিদ গুলো আবাদি হতো না। অত্যন্ত আলেমরা স্থান গুলো পূরণ করেছেন একটি ধারা চালু রেখেছেন। তাদের এই খেদমত গুলোর ব্যাপারে সন্দেহ করতে পারবেনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইংরেজরা আমাদের যতটুকু স্বাধীনতা দিয়েছিল, আমরা সেটাকে মনে গেঁথে নিয়েছি যে বাস! এটা ইসলাম। না, একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো। বিশেষভাবে আমেরিকা ইংল্যান্ড অন্যান্য খ্রিস্টান রাষ্ট্র সমূহ ব্যাপকভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এবং দ্রুততার সাথে তা বাড়তেই থাকবে। সেই ব্যাপারটা এমন যে নিশ্চয়তা হিসেবে ইসলামের সাথে তাদের কোন যুদ্ধ নেই।
আমেরিকার জজ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বলেছিলেন যে, আমরাতো ইসলামের বিরুদ্ধে নই। সে সত্যই বলে সঠিক বলে তারা এটাও বলতে পারে। You have come here, you purchase churches and synagogues and converted into mosques. Did we object? অর্থাৎ তোমরা আমেরিকা এসেছো, খ্রিস্টানদের চার্চ অথবা ইহুদিদের সিনাগোগ কিনে মসজিদ বানিয়ে ফেলেছ আমরা কখনো বাধা দিয়েছি তোমাদের? তোমরা নামাজ পড়ো, রোজা রাখ, আমরা কখনোই তোমাদের বাধা দেই? বরং রমজানে তোমরা চাইলে হোয়াইট হাউসে একটা ইফতার পার্টি দিয়ে দিতে পারি, তোমাদের দুই ঈদের সময়ে কমিউনিটি স্ট্যান্ড চালু করে দেই যে। এটা এই ঈদের ডাকটিকিট আর ওটা কুরবানীর ঈদের ডাকটিকেট। সাধারণত আমাদের কোন সমস্যা নেই কিন্তু ইসলামের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিধি-বিধান চলবে না আমরা চলতে দেব না। বিধান থাকবে আমাদের হাতে। আমাদের বুঝতে হবে যে, এভাবেই বারবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়।
আরো জানুন > ইসলাম শব্দের মাধ্যমে কি বুঝানো হয়েছে?
কবি মাওলানা হালিম যেটা বলেছিলেন।
হে আল্লাহ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাসুল
আজ তো দোয়ার সময়
আপনার উম্মতের অপর আজ
বড়ই আজব সময় বয়
যেদিন আর মাতৃভূমি থেকে বের হয়েছিল মহান মর্যাদার সাথে।
পরদেশে এসে সেই দিন আজ ঘুরছে পথে পথে।
কত মর্যাদার সাথে ইসলামের সূচনা হয়েছিল।
আর আজ একেবারেই উল্টো হয়ে গেছে সব,
মুসলমানরা তখন বলতো ইসলাম গ্রহণ করো
তাহলে আমরা ভাইভাই হয়ে যাব।
আমরা এটাও বলব না যে আমরা পুরাতন, সিনিয়র মুসলমান, আমাদের অধিকার বেশি! তোমরা নতুন এসেছ তোমাদের অধিকার কম। না অধিকার সবার সমান। বিধান আমাদের সত্যদীন অনুসারে হবে। দ্বীন ইসলামকে আমাদের বিজয়ী রাখতে হবে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠানো হয়েছিল দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য। আমাদের সামর্থ্য না থাকলে তো কিছু করার নেই। আমরা অক্ষম। কিন্তু শক্তি থাকার পরও বিজয়ী না করলে তোমরা আল্লাহর কাছে বিশ্বাসঘাতক হবে। এজন্যই বলা হতো ইসলাম গ্রহণ করো ভাই ভাই হয়ে যাবে ।অন্যথায় থাকো যেটা ইচ্ছা ইহুদী-নাছারা বা মুর্তি পুজক। আগে তো এই তিনটায় প্রসিদ্ধ ছিল। কিন্তু ইসলামের আধিপত্য থাকবে, বিধান আমাদের হাতে থাকবে। তোমরা অধীনস্থ হয়ে থাকো ।আর এটাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আস্ তরবারি আমাদের মাঝে ফায়সালা করবে। কথা এটাই ছিল কি? আজ আমেরিকা সেটাই বলছে । বিধান আমাদের হাতে থাকবে, তার অধীনস্থ হয়ে তোমরা থাকো। মুসলমান থাকো, হিন্দু থাক্ খ্রিস্টান থাকো, যা ইচ্ছা থাকো। বিষয়টা একেবারেই বিপরীত হয়ে গেছে। আজকাল মুসলমানদের এই বিষয়গুলো থেকে এজন্যই উদাসীন যে। যে রাসূলুল্লাহ এর এত জোর দেওয়া হাদিস (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ``আমি তোমাদের পাঁচটি বিষয়ের আদেশ করছি যা আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন’’ ।1 .জামা আহ 2. সোনা 3. মানা 4. হিজরত 5. জিহাদ । কখনো মেম্বার থেকে শোনানো হল না নিজেও কখনো শুনলাম না । এটা জিহাদ হচ্ছে সেই আমলের নাম, যা দিনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হয়।
No comments
Post a Comment