কত বছর বয়সে সন্তানের বিছানা আলাদা করতে হয়। At what age should the child's bed be separated?
সন্তানের বিছানা আলাদা করার সময়।
জন্মের পর থেকেই সন্তানেরা মা-বাবার সাথে ঘুমায়, এবং ধীরে ধীরে তারা বড় হয়ে উঠে, সারা জীবন তো আর মা বাবার সাথে ঘুমানো যায় না। একটি সময় তাদেরকে আলাদা বিছানায় ঘুমাতে হয়। কত বছর বয়সে সন্তানের বিছানা আলাদা করতে হয়, তা আমাদেরই অনেকেরই জানা নেই। এই বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী। এ ব্যাপারে ইসলাম ধর্মে কিছু দিক নির্দেশনা রয়েছে। হাদিসের আলোকে আমরা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। কত বছর বয়সে আলাদা করতে হবে। হাদিসের ভাষ্য মতে সন্তানের বয়স যখন 10 বছর পূর্ণ হবে, এরপর থেকে এই সন্তানকে আলাদা বিছানায় অবশ্যই ঘুমাতে হবে, তাকে আর একসাথে রাখা যাবে না, কোন কোন হাদিসে সাত বছরের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
আমর ইবনুল সাঈদ রহমতুলা আলাহি বলেন , (তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত) নবী করিম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সন্তানের বয়স সাত বৎসর হলে তাদেরকে সালাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স 10 বছর পূর্ণ হবে, তখন সালাত আদায় না করলে তাদেরকে প্রহার করো। এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দাও। (আবু দাউদ হাদিস-495)
👫 ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা আগে প্রাপ্তবয়স্ক হয়।মেয়েরা 9 থেকে 10 বছরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে।এই ক্ষেত্রে মেয়েদের বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
👫 ছেলে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মা বাবার সাথে একই বিছানায় ঘুমানো মোটেই ঠিক নয়।
👫 পিতামাতার সাথে সন্তানের থাকার ক্ষেত্রে শুধু আলাদা বিছানায় নয়, আলাদা রুমে থাকার অভ্যাস করা প্রয়োজন।
🚺 আলাদা বিছানায় থাকা এটি মূলত অভ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছেলে সন্তান সাধারণত আলাদা বিছানায় বা আলাদা রুমে থাকতে চায় না।বিভিন্ন কৌশলে তাদেরকে আলাদা রুমে রাখা হলে ধীরে ধীরে তাদের মন থেকে ভয় দূর হবে, এবং নিজেদের মনে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।যা তাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইনশাল্লাহ।
🔎 অজ্ঞতাবশতঅনেকেই বাচ্চাদের প্রতি প্রতি মায়া ও ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে তাদেরকে বোঝানো বড় হওয়ার পরেও তাদেরকে সাথে নিয়ে নিজ বিছানায় ঘুমায় । এতে তাদেরই ক্ষতি করা হয় । কেননা অনেক ক্ষেত্রে অসতর্কতাবশত দাম্পত্য জীবনের কোন বিষয় তাদের দৃষ্টিগোচর হলে তাদের মনে কুপ্রভাব পড়ে। কোমলমতি বাচ্চারা সাধারণত অনুকরণ প্রিয় হয়, তাই কখনো বা কখনো এটা তাদের আচরণের দ্বারা প্রকাশ পেতে শুরু করে।তাই প্রত্যেক স্বামী-স্ত্রীকে তার ছোট বাচ্চাদের প্রতি প্রতি দৃষ্টি রাখা অত্যন্ত জরুরী।এবং তাদের প্রতি সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
1 comment
Nice. Ata amar janasilo na khum opkar holo
Post a Comment