Header Ads

Header ADS

আযান ও আযানের জবাব

 মহান আল্লাহর বাণীঃ

অর্থঃ যখন তোমরা নামাজের জন্য আযান দাও, তখন কাফির মুশরিকরা একে উপহাস ও খেল-তামাশা মনে করে, তারা অজ্ঞ জাতি হওয়ার কারণেই এরূপ করে থাকে।

হযরত নাফে (রঃ) বলেন,  হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেছেন,  মুসলমানগন পবিত্র মক্কা মদিনা থেকে হিজরত করে মদিনা মুনাওয়ারায় আগমন করার পর সবাই নিজের থেকেই একত্রিত হতেন এবং সময় মত নামাজ আদায় করতেন।  তাদেরকে তখন নামাজের জন্য আহবান করা হতো না।  অতঃপর মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় একদিন সবাই এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করতে লাগ্লেন।  কিভাবে লোকদেরকে সময়মতো নামাজের জন্য আহবান করা যায়।  উপস্থিত সাহাবাদের কেউ কেউ বলেন, নাসারাদের  ‘নাকুস’ (পূজার) ঘন্টার ঘন্টা বাজানো হোক।  আবার কেউ কেউ বললেন,  বরং ইহুদিদের “ সিঙ্গার” ন্যায় সিংগা বাজানো হোক।  অতঃপর হযরত ওমর রাজেলা তালা বললেন,  এসব বাদ দিয়ে তোমরা চতুর্দিকে দুজন লোক পাঠিয়ে দাও,  যারা মানুষদেরকে নামাজের জন্য ডাকবে।  এতস্রবনে  হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন,  হে বেলাল তুমি উঠো এবং লোকদেরকে নামাজের জন্য আহবান করো। আযান শব্দের অর্থ হলো আহ্বান কর। সহি বুখারী-৫৭৭

আযানের বাণী:

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার-দুইবার, (আল্লাহতায়ালা সবচেয়ে বড়) ।
আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ -দুইবার, (আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত আর কোন মাবুদ নাই)।
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ -দুইবার, মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলা রাসূল।
হাইয়া আলাস সালাহ-দুইবার, (নামাজের জন্য আসো)। হাইয়া আলাল ফালা-দুইবার, (কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য আসো)।
ফজরের আজান হলে,  আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউও-দুইবার, (ঘুম হইতে নামাজ উত্তম)।
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, । লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মাবুদ নাই।

আযানের জবাবঃ

আযান শুনিলে মুয়াজ্জিন যাহা বলিবে, শ্রোতাও আস্তে আস্তে তাহাই বলিবে। কিন্তু হাইয়া-আলাল ফালা ও হাইয়া আলাস সালাহ এর উত্তরে বলিবে লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত কোনো শক্তি ও সামর্থ্য নাই। ফজরের আজানের সময় ফজরের আযানের সময় মুয়াজ্জিন যখন বলবে আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম। তখন শ্রোতা বলিবে সদাট তা-ও আ-বারকতা 

আযান দেওয়ার ফজিলতঃ হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,  নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,  যখন নামাযের আযান দেয়া হয়,  তখন শয়তান অপাং বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পেছনের দিকে দৌড়াতে থাকে,  যাতে সে আযানের আওয়াজ না শুনতে পায়।  আজান শেষ হলে পুনরায় সে কথায় ফিরে আসে।  অনুরূপ যখন নামাযের ইকামত দেওয়া হয়,  তখনো সে পেছনের দিকে দৌড়াতে থাকে।  একামত শেষ হলে পুনরায় ফিরে আসে।  এবং মুসল্লীরা অন্তরে ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে।  শয়তান মুসল্লির অন্তরে পাছা দিয়ে বলে, তুমি এটা স্মরণ করো,  ওটা স্মরণ করো।  জাতার স্মরণীয় ছিল না এমন কথাও স্মরণ করতে বলে।  যাতে সে কত রাকাত নামাজ পড়েছিল তা ভুলে যায়।  অর্থাৎ মুসুল্লি নামাজে ভুল করে বসে। সহি বুখারী-৫৮১

No comments

Powered by Blogger.