Header Ads

Header ADS

অনর্গল পেশাবের ফোটা আসতে থাকে নামাজ পড়বো কিভাবে? । মাজুর ব্যক্তির নামাজ

 মাজুর ব্যক্তির নামাজ

নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে একটি, তাই নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত, এবং পবিত্রতার ব্যাপারে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে, তাই এবার আমরা মাজুর ব্যক্তির নামাজ নিয়ে আলোচনা করব, অর্থাৎ মাজুর ব্যক্তির  অজু করবে। কখন তার ওযু নষ্ট হয়ে যাবে। এবং তাকে কিভাবে অজু করতে হবে এবং কখন করতে হবে।

মাজুর কে?

যার নাক বা অন্য কোন যখম থেকে অনবরত রক্ত বইতে থাকে বা অনর্গল পেশাবের ফোটা আসতে থাকে, এমনকি নামাজের সম্পূর্ণ রক্তের মধ্যে এতোটুকু সময় অবিরত হয় ন,  যার মধ্যে সে শুধু ওযুর ফরজ অঙ্গগুলো ধৌত করে সংক্ষেপে ফরজ নামাজ আদায় করতে পারে, এরূপ ব্যক্তিকে মাজুর বলে।

মাজুর ব্যক্তির হুকুমঃ

মাজুর ব্যক্তিকে প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তে নতুন ওযু করতে হবে। যে পর্যন্ত ওই ওয়াক্ত থাকবে সেই পর্যন্ত তার ওযু থাকবে অর্থাৎ, ওই ওজরের কারণে ওযু যাবে না।  তবে ওই কারণ ছাড়া ওযু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ ঘটলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।  এবং তাকে পুনরায় ওযু করতে হবে।

আরও জানতে > নামাজে একাধিকবার রফেদাইন বা হাত উঠানোর নিয়ম।

মাজুর ব্যক্তি যে কারণে মাজুর হয়েছে সেই কারণ বন্ধ থাকার সময় ওযু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ ঘটায় যদি অজু করে, তারপর মাজুর যে কারণে হয়েছে সেই কারণ ঘটে তাহলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে,অবশ্য মাজুর যে কারণে হয়েছে সেই কারণে যে ওযু করবে সেই ওযু ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত থাকবে,যদি ওযু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ না পাওয়া যায়।

যদি এই রক্ত ইত্যাদি  (অর্থাৎ যে কারনে মাজুর হয়েছে) কাপড়ে লাগে এবং এরুপ মনে হয় যে, নামাজ শেষ হওয়ার পূর্বে আবার লেগে  যাবে, তাহলে ওই রক্ত দোয়া  ওয়াজিব নয়। অন্যথায় ধুয়ে নিয়ে পাক্কা পরেই নামাজ পড়তে হবে। তবে রক্ত 1 দেরহাম পরিমাণ এর কম হলে তা না ধুয়ে নামাজ পড়া যাবে। হাতের তালু সম্পূর্ণ খুলে তাতে পানি রাখলে যে পরিমাণ স্থানে পানি থাকে তাকে 1 দেরহাম এর পরিমাণ বলা হয়- (বেহেশতী জেওর)

মাজুর বলে গণ্য হওয়ার শর্তটি হলঃ-

পূর্ণ এক ওয়াক্ত  (শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত)  এমন অতিবাহিত হওয়া, যার মধ্যে সে ওজর থেকে এতোটুকু পরিবানো বিরতি পায় না যাতে ওযুর ফরজ গুলো আদায় করে ফরয নামায পড়তে পারে। প্রতি ওয়াক্তে সর্ব সময় সেই ওজর থাকা জরুরি নয় বরং ওয়াক্তের মধ্যেই একবারও যদি পাওয়া যায় তবুও সে মজুর বলে গণ্য থাকবে।  অবশ্য যদি এমন একটা ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়, যার মধ্যে একবারও সে ওজর দেখা যায়নি, তাহলে শেয়ার মাজোর থাকবে না।

2 comments

Anonymous said...

অসাধারণ খুব উপকার হলো ভাই এই বিষয়ে অনেকদিন ধরেই জানার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷

আলামিন said...

অসাধারণ খুব উপকার পেলাম, অনেকদিন ধরে এ সম্পর্কে একটি লেখা খুজতেছিলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে

Powered by Blogger.