নামাজের ওয়াজিব কয়টি
নিঃসন্দেহে নামাজ বড়ই কঠিন কাজ, কিন্তু সেইসব অনুগত বান্দাদের জন্য কঠিন নয়। যারা মনে করে সবশেষে তাদের মিলিত হতে হবে তাদের রবের সাথে এবং তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানের মনেই এই ভয় সদা সর্বদা জাগ্রত থাকা উচিত। মহান আল্লাহ তায়ালা সকল অবস্থায় সব স্থানেই বান্দাদেরকে দেখতেছেন। সকল মানুষের গতিবিধি সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা সম্পূর্ণরূপে অবহিত।দুনিয়া হতে আত্মগোপন করা সম্ভব কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলার দৃষ্টি থেকে লুকিয়ে থাকা কখনোই সম্ভব নয়। মহান আল্লাহতালা মুসলমানদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। এই নামাজের মধ্যে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।ফরজ থেকে শুরু করে মুস্তাহাব পর্যন্ত।
নামাজের মধ্যে রয়েছে ১৪ টি ওয়াজিব।
১। সুরা ফাতেহা সম্পূর্ণ পড়া, অর্থাৎ আলহামদু শরীফ পুরা পড়া।
২। সুরা ফাতেহার সঙ্গে আরেকটি সূরা পড়া।
৩। রুকু সিজদায় দেরি করা। অর্থাৎ রুকু ও সেজদায় দেরি করতে হবে।
৪। রুকু হইতে সোজা হইয়া খাড়া হইয়া দেরি করা।
৫। দুই সিজদার মাঝখানেসোজা হইয়া বসিয়া দেরি করা।
৬। দরমিয়ানি বৈঠক।
৭। আত্তাহিয়াতু পড়া।
৮। ইমামের জন্য কেরাত আস্তে এবং জোরে পড়া।
৯। বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়া।
১০। দুই ঈদের নামাজের ছয় ছয় তাকবীর বলা।
১১। প্রত্যেক ফরজ নামাজে প্রথম দুই রাকাতে কেরাতের জন্য নির্ধারিত করা।
১২। প্রত্যেক রাকাতের ফরজ গুলির তারতীব ঠিক রাখা।
১৩। প্রত্যেক রাকাতের অজিব গুলোর তারতীব ঠিক রাখা।
১৪। আসসালামুয়ালাইকুম বলিয়া নামাজ শেষ করা।
শেষ কথাঃ নামাজে ভুলবশত কোন ওয়াজিব ছুটিয়া গেলে নামাজ শেষেসাজদায়ে সাহু করিলে নামাজ হইয়া যায়। তবে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব তরক করিলে নামাজ পুনরায় পরীক্ষা হয়। অর্থাৎ কোন কারনে ওয়াজিব ছুটিয়া গেলে,নামাজের শেষ সাজদায়ে সাহু না করিলে নামাজ হবে না।
No comments
Post a Comment