তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত। নামাযের নিয়ত।
নামাজের নিয়ত ৷ নিয়ত হল দ্বীনের ইরাদা ৷
যেমন আমি দাঁড়াইয়া ফজরের দুই রাকাত ফরজের নামাজের ইরাদা করিলাম৷ এই ইচ্ছাটুকু না থাকিলে, এমন ভাবে নামাজ পড়িলে নামাজ আদায় হইবে না৷ প্রচলিত আরবি নিয়ত এর কোন প্রয়োজন নেই৷ বরং অনেক সময় দেখা যায় যাহারা আলেম নন, নিয়ত আরবি দ্বারা করার ফলে তাহাদের তাকবীরে তাহরীমা ফৌত হইয়া ছুটিয়া যায়, যাহা অতি ফজিলতের জিনিস৷ আর অর্থ না বুঝায় ধরুন বহু রকমের ভুল ভ্রান্তি করে বসে৷ যেহেতু আমাদের ভাষা বাংলা, তাই বাংলাতেই নিয়ত করা উত্তম, তবে আলেম হইলে ভিন্ন কথা৷ তাহা হইলে কেহ যদি দিলের ইচ্ছা সাথে মুখে বলিতে চায়, তবে বাংলার ভাষা এরূপ বলিবে৷ আমিন জহুরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়িতেছি আর ( ইমামের পিছনে হইলে) এই ইমামের ইখতেদা করিলাম৷ কেউ যদি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে চায় তাহলে দুই রাকাত এর নিয়ত করে আদায় করাই উত্তম তবে অনেক ওলামায়ে কেরাম চার রাকাত করেও পড়া যাবে বলেছেন। কেউ কেউ তাহাজ্জুদের নামাজ কে গুরুত্বপূর্ণ নফল এবং কেউ ইহাকে সুন্নত বলেছেন তবে যেভাবেই নামাজ পড়বে নামাজ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
নামাজ পড়ার নিয়ম৷
তাকবীরে তাহরিমা মাধ্যমে নামাজ শুরু করা৷ অর্থাৎ আল্লাহু আকবার ( আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে নামাজ শুরু করা৷ এরপর সানা পাঠ করা৷
সুবহানাকা-আল্লাহুম্মা ওয়া-বিহামদিকা অতবারা- কাশ মুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওলা ইলাহা গায়রুকা৷ অর্থঃ হে আল্লাহ! প্রশংসা সহকারে তোমার পবিত্রতা প্রকাশ করছি ।তোমার নাম খুবই মহামান্বিত এবং তোমার মাহাত্ম্য খুবই উচ্চ; আর তুমি ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ বা উপাস্য নেই। সানা পড়া শেষ হলে তা’ আউজ পড়বে। উচ্চারণঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম। অর্থঃ আমি বিতারিত শয়তান থেকে মহান আল্লাহর আশ্রয় কামনা করছি। এরপর তাসমিয়া বা বিসমিল্লাহ পড়বেঃ উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। অর্থঃ পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। রুকুর তাসবীহঃ উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম।
1 comment
নিশ্চয় সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। (সহিহ বুখারি – ১)
Post a Comment