Header Ads

Header ADS

ঈদের নামাজের নিয়ম

ঈদ অর্থ খুশি।পবিত্র রমজান মাসের সিয়াম ( রোজা) সাধনার পর শাওয়ালের চাঁদের প্রথম তারিখে এক ঈদ। ইহাকে ঈদুল ফিতর বলে। ( অর্থাৎ রোজার ঈদ)  এবং  জিলহজ্ব চাঁদের ১০  তারিখে এক ঈদ।  ইহাকে ঈদ-উল-আযহা বলে।  অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ।  জুমার নামাজের মত উভয় ঈদের নামাজে দুটি খুতবা পড়তে হয়। পার্থক্য শুধু এই যে,  জুমার নামাজের খুতবা নামাজের পূর্বে পড়তে হয় এবং ইহা ফরজ  আর ঈদের নামাজের খুতবা নামাজ আদায়ের পর পরিতে হয় এবং ইহা সুন্নত। অবশ্যই নামাজের খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব।

 

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত-

আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীরের শহীদ এই ইমামের পিছনে আদায় করিতেছি। আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করবে। 

ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত-

আমি ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীরের সহিত ইমামের পিছনে আদায় করিতেছি। আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করবে।

ঈদের নামাজের নিয়ম-

প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমার পর ছানা পাঠ করে তিন তাকবীর বলতে হয়।  প্রথম তাকবীরের সময় হাত কান পর্যন্ত উঠাইয়া আল্লাহু আকবার বলিয়া হাত ছাড়িয়া দিবে।  দ্বিতীয় তাকবীরের সময় অনুরূপ করিবে।  তৃতীয় তাকবীরের সময় হাত উঠাইয়া আল্লাহু আকবার বলিয়া বাদিয়া লইবে।  প্রথম রাকাতে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করিয়া দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়াইয়া কেরাত শেষ করার পর রুকুর পূর্বে তিন তাকবীর বলতে হয়।  এ সময় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তাকবিরে  দুই হাত উঠাইয়া ছাড়িয়ে দিতে হইবে। তারপর  আল্লাহু আকবার বলে রুকু করতে হবে।  দ্বিতীয় রাকাত শেষ হওয়ার পর( সালাম ফিরানোর পর)  ইমাম সাহেব মিম্বরে উঠিয়া খুতবা পাঠ করবে।  খুতবা শোনা ওয়াজিব।  খুতবা সমাপ্ত হলে ঈদগাঁওতে বিদায় নেবে।  খুতবা পড়াকালীন সময়ে কথা বলা হাঁটাচলা বা ঘোরাফেরা করা জায়েজ নেই।  কোন ঈদেই আজান একামত নেই।

ঈদুল আযহার সময় জুরে জুরে( বুলন্দ আওয়াজে) তাকবীরে তাশরীক বলিতে বলিতে ঈদগাহের দিকে আসবে।  কিন্তু ঈদুল ফিতরের সময় তাকবিরে তাশরিক মনে মনে পড়তে হবে। এটা সুন্নত। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

No comments

Powered by Blogger.