Header Ads

Header ADS

জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম। জামাতে নামাজ আদায়ের ফযীলত

জামা ‘আতের ফযীলত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জামাতের সহিত নামাজ আদায় করা একাকী নামাজ পড়া  হইতে 27 গুণ বেশি উত্তম ( বোখারী)  অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে, মানুষ যখন উত্তমরূপে ওযু করিয়া মসজিদের দিকে রওনা হয় তখন প্রতি কদমে তাহার একটি করিয়া নেকি একই বৃদ্ধি পায় এবং একটি করিয়া গুনাহ মাফ হয়ে যায়। যতক্ষণ নামাজের অপেক্ষায় থাকবে, ততক্ষণ নামাজের সওয়াব পেতে থাকবে।  নামাযান্তে (জামাতের পর) সেই স্থানে অবস্থান করলে ফেরেশতাগণ তাহার মাগফিরাতের এবং রহমতের জন্য দোয়া করিতে থাকে। জামাআতের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো হাদীস বর্ণিত হইয়াছে।  অতএব কোনমতেই জামাত ছাড়া যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুখারী শরীফের হাদীসে বলেন।  যার হাতে আমার জীবন সেই আল্লাহর কসম! আমার ইচ্ছা হয় যে, লোকদিগকে কাঠ সংগ্রহ করতে বলি,  তারপর নামাজের হুকুম করি,  আযানের নির্দেশ  দেই,  অতঃপর একজনকে নামাজ পড়াইতে হুকুম দেই।   যখন নামাজ শুরু হইয়া যায় তখন আমি এই সকল লোকদের পশ্চাদ্ধাবন করি,  যাহারা নামাজের জামাতে শরিক হয় নাই, আমি তাহাদের গৃহ আগুন জালাইয়া দেই ।

ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম।

১। জামাতের সাথে নামাজ পড়তে হলে সর্বপ্রথম নিয়ত করতে হবে পূর্বে আলোচনা করেছি নিয়ত হইলো মনে ইরাদা।

২। আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত তুলে নাভির উপর/ বুকের নিচে থাকতে হবে। (নাভির উপর,  নিস,  বুক যেখানে মন চায়) । 

৩। সানা পড়তে হবে। 

৪। তারপর ইমাম যদি কেরাত পড়েন তাহলে চুপ করে মন দিয়ে শুনতে হবে।  যেমন,  ফজর, মাগরি্‌ এশা।  ইমাম সূরা  চুপি চুপি পড়লে,  আপনি সূরা পড়তে পারেন আবার নাও করতে পারেন,  যদি পড়েন তবে চুপিচুপি পড়তে হবে। যেমন যোহর আসর। 

৫। দ্বিতীয় রাকাতে বসে তাশাহুদ পড়তে হবে, দুরুদ শরীফ ও আত্তাহিয়াতু পড়তে হবে। সবশেষে ইমাম যখন সালাম ফিরাবে আপনিও ইমামের পরপর ডানে-বামে সালাম এর মাধ্যমে নামাজ শেষ করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.