জামাতে মুসল্লিগণ কিভাবে দাঁড়াবেন? লা মাযহাবীদের উপস্থাপিত দলিল ও সে গুলি পর্যালোচনা।
জামাতের সাথে নামাজে দাঁড়ানোর নিয়ম।
জামাতের সাথে নামাজ আদায় করাকে শরীয়তে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তার কারণ হলো জামায়াতের সাথে নামায আদায়কারীর জন্য রয়েছে মহা মূল্যবান পুরস্কার, অন্যদিকে জামায়াত তরকারির জন্য এসেছে মহাশাস্তি ঘোষণা। আর জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার জন্য রয়েছে সঠিক পদ্ধতি। জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার সময় মুসল্লিগণ যেন একে অপরের সাথে পরস্পর টাকলু ও কাঁধ বরাবর কাতার সোজা করে দাঁড়ায়, কাতার সোজা করার প্রতি দেয়া হয়েছে নিরন্তর তাকিদ। কিন্তু আমাদের ভাই লা- মাযহাবী বন্ধুরা নিজে নিজে হাদিস বুঝার মূল্য হিসেবে কাতার সোজা করার হাদীসগুলোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল অনুভব এর শিকার হয়েছেন বলে মনে হয়। তারা হাদিসের বাহ্যিক অর্থ ধরে পরস্পরের টাখনু -টাখনু লাগাতে গিয়ে যে অসাভাবিক অনাকাঙ্ক্ষিত ও খুশু-খুঁজু বিনষ্টকারী অবস্থার অবতারণা করে ফেলেছেন তাই এই বিষয়গুলো খুবই আশ্চর্য জনক; যা গোটা মুসলিম উম্মার দৃষ্টিত ‘বিচ্ছিন্ন ও অসমর্থিত’ পদ্ধতি। এযাবৎকালের মুসলিম উম্মার সুন্নাহ সম্মত আমলের পদ্ধতি হলো, কাতারের মাঝে ফাঁক না রেখে পরস্পরের টাখনু ও কাঁধ বরাবর করার মাধ্যমে কাতার সোজা করা। নিম্নে এ সম্পর্কিত হাদিস সমূহ নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহঃ
পায়ের টাখনু ও কাঁধ বরাবর কাতার সোজা করার দলিল গুলোঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি সেইভাবে সারিবদ্ধ হবে না যেভাবে ফেরেশতাগণ তাদের প্রতিপালকের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়? আমরা বললাম, ফেরেশতাগণ কিভাবে তাদের প্রতিপালকের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলেন তারা সামনের কাতার আগে পুরা করে এবং কাতারে মিলে মিলে একে অপরের বরাবর হয়ে দাঁড়ায় ( আবু দাউদঃ-৬৬১)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কাতার সুজা করো। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাঁধ অন্যের কাঁধ বরাবর করো। কাতারের মধ্যকার ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদের হাতে ( যারা নামাজের প্রশিক্ষণ দেন বা কাতার সোজা করেন) নরম হয়ে যাও। কাতারের মাঝে শয়তানের জন্য ফাক রেখোনা। যে ব্যক্তি কাতার মিলিয়ে রাখবে আল্লাহ তাআলা তার সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করবেন। আর যে ব্যক্তি কাতার ছিন্ন করবে আল্লাহ তা'আলা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন (আবু দাউদঃ ৬৬৬)
হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু কয়েকজন ব্যক্তিকে কাতার সোজা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আর কাতার সোজা না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকবির বলতেন না (তিরমিজিঃ ২২৭)
হযরত ওসমান ও আলীর ধর্মতলা কাতার সোজা করার ব্যাপারে খুবই যত্নবান ছিলেন। তারা বলতেন, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। আর হযরত-আলী- রাদি আল্লাহ আনহু এটাও বলতেন, হে অমুক! সামনে বাড়ো, হে অমুক! পিছনে সরো। ( তিরমিজিঃ ২২৭)
হযরত নোমান ইবনে বাসের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজে আমাদের কাতার গুলো সোজা করতেন। একদিন কাতার সোজা করতে বের হয়ে দেখলেন, একজনের বুক অন্যদের থেকে সামনে বের হয়ে আছে। তখন তিনি বললেন, হয় তোমরা কাতার সোজা করবে আর না হয়তো আল্লাহতালা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবেন। তিরমিজি-২২৮
উপরে বর্ণিত হাদিস ও আষাঢ়ের আলোক এতটাই প্রতীয়মান হয় যে, নামাজে কাতার সোজা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। আর এই পদ্ধতি হলো, কোন মুসল্লী কাতার থেকে আগে বা পিছে দাঁড়াবে না।সবাই একে অপরের টেকনো ও কাঁধ বরাবর মিল রেখে দাঁড়াবে। কাতারের মাঝে একজন লোক দাঁড়াতে পারে এমন কোন ফাঁকা জায়গা রাখা যাবে না। কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে এটি সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি ও উম্মতে মুহাম্মদীর ধারাবাহিক আমল। নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম করা দ্বীনের ক্ষেত্রে নতুন আবিষ্কার ও সুন্নতের বরখেলাপ।
লা মাযহাবীদের উপস্থাপিত দলিল ও সে গুলি পর্যালোচনা করব ইনশাল্লাহ। লা মাযহাবী ভাইয়েরা দলিল হিসেবে পেশ করে থাকে হযরত নমান ইবনে বাসের রাদি আল্লাহ আনহু এর হাদীসটি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি সহি বুখারীতে পরিচ্ছেদঃ কাতারে কাঁধের সাথে কাঁধ ও পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখা শিরোনামের অধীনে সনদ ছাড়া উল্লেখ করেছেন। হযরত উসমান ইবনে বাসের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন
2 comments
Thanks, Right article, best solution
পাঁচ কালেমা শিখব কিভাবে?
পাঁচ কালিমা শিখার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Post a Comment