Header Ads

Header ADS

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

সালাতুত তাসবিহ নামাজটি অনেক ফজিলত পূর্ণ। সালাতুত তাসবিহ নামাজটিআদায় করার ক্ষেত্রে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। প্রত্যেক রাকাতে ৭৫ বার চার রাকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হয়। সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে যে ফজিলত পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো। পূর্বের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ এবং সেইসাথে অনেক সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়।  রমজান মাসে এ নামাজ আদায়ের ফজিলত সবচেয়ে বেশি।

এই নামাজের ব্যাপারে হাদীস শরীফে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা হল

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু হইতে বর্ণিত- একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিতা হযরত আব্বাসকে বললেন,  হে আব্বাস! হে চাচা জান! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি আপনাকে সংবাদ দেব না? আমি কি আপনার সঙ্গে ১০ টি সৎ কাজ করবো না অর্থাৎ 10 টি উত্তম তাজবি শিক্ষা দেব না?  যখন আপনি তা ( আমল) করবেন।

=তখন মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনার পূর্বের ও পরের,পুরাতন এবং নতুন সব ধরনের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন.
=ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত গুনাহও মাফ করে দেবেন।
=ছগিরা ও কবীরা গুনাহ মাফ করে দেবেন।
=গোপন ও প্রকাশ্য সব গুনাই মাফ করে দেবেন।
হে চাচা,  আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং সেই সাথে যে কোন একটি সূরা পড়বেন। এবং প্রত্যেক রাকাতেই ৭৫ বার করে এ তাজবিটি আদায় করতে হবে।

সালাতুত তাসবিহ আদায়ের নিয়ম

সুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য একটি সূরা পড়তে হবে এবং তার সাথে প্রত্যেক রাকাতেইسُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ"  অর্থাৎঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওল্লাল্লাহু আকবর এই তাসবিটি ৭৫ বার পড়তে হয়।  আর এই একই নিয়মে প্রতি রাকাতেই ৭৫ বার করে চার রাকাতে মোট তাসবিহ টি ৩০০ বার পড়তে হয়।

আল্লাহু আকবার বলে নামাজে দাঁড়িয়ে সুরা ফাতেহা পড়ার আগে এই তাসবি سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ অর্থাৎ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওল্লাল্লাহু আকবর ১৫ বার পড়তে হয়।

সুরা ফাতেহা এবং সেই সাথে অন্য সূরা পড়ার পর রুকুর আগে এই তাসবিহ, সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওল্লাল্লাহু আকবর ১০ বার পড়ুন।

রুকুর তাসবীহ সুবহানাহারাব্বিয়াল আজিম পড়ার পর এই তাসবীহ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওল্লাল্লাহু আকবর ১০ বার পড়ুন।

আরো জানুন > তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

রুকু থেকে দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে এই তাসবি সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওল্লাল্লাহু আকবর দশ বার পড়ুন।

সেজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়ার পর সেজদারত অবস্থায় এই তাজবি ১০ বার পড়ুন।

দ্বিতীয় সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবিহ পড়ার পর আবার পুনরায় সেজদারত অবস্থায় এই তাসবীহ ১০ পড়ুন। 


এই একই নিয়মে দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে প্রথম রাকাতে ন্যায় এ নামাজ আদায় করবে এবং দুই রাকাতের পর তাশাহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে উপরের নিয়মে বাকি দুই রাকাত আদায় করে নেবেন।  তাহলে মোট চার রাকাতে এই তাসবিহ তিনশতবার পড়া হয়ে যাবে।

 

স্মরণ রাখতে হবে যে

তাসবিহ পাঠ করার সময় যদি কোন স্থানে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম তাসবিহ পাঠ করা হয় তাহলে,  পরবর্তী যে রুকনে তা স্মরণে আসবে সেখানেই তা পাঠ করতে হবে। যদি কোন কারণে নামাজে সেজদায়ে সাহু এর প্রয়োজন হয় তবে এ সেজদায় কিংবা সেজদার মাঝখানে বসা অবস্থায় এই তাসবীহ পাঠ করা যাবে না।


তসবি পড়ার সময় স্মরণ রাখার জন্য আঙ্গুলের কর গণনা করা যাবে না, তবে আঙ্গুল চেপে তাসবীহ এর সংখ্যা স্মরণ রাখা যাবে।

আরো জানুন > ঈদের নামাজ পড়বেন যে ভাবে

অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে হে চাচা।  এভাবে যদি প্রতিদিন একবার এ নামাজ পড়তে সক্ষম হন তবে তা পড়বেন। যদি সক্ষম না হন তবে প্রত্যেক জুমার দিনে একবার পড়বেন। যদি তাও না পড়তে পারেন তাহলে প্রত্যেক মাসে একবার পড়বেন।  তাও যদি পড়তে না পারেন তবে প্রত্যেক বছর একবার পড়বেন।  আর যদি তাও সম্ভবপর না হয় তাহলে অন্তত আপনার জীবনে একবার হলেও পড়বেন। তিরমিজি ,  আবু দাউদ,  মিশকাত,  ইবনে মাজাহ।

No comments

Powered by Blogger.