Header Ads

Header ADS

তারাবির নামাজের নিয়ম

সামনে একটি বাহাস আসবে তারাবির নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত। যে মাসালা গুলো নিয়ে সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ইখতেলাভ হয়ে আসতেছে কিয়ামত পর্যন্ত এই ইখতেলাভ থাকবে। আমাদের পরিস্থিতিটা এমন দাড়িয়েছে যে,  কয়েকটি বাংলা হাদিস পড়ে আমরা মুফতি হয়ে যাই। অথচ আমাদের এই কোরআন হাদিসটাকে বুঝার জন্য।  একজন ওস্তাদের প্রয়োজন। আবার আমাদেরকে ওস্তাদ খুঁজতে যেয়ে সাম্প্রদায়িক হওয়া যাবে না। যে এই মাযহাবের বাইরে কোন ওস্তাদ নেব না। আমি এই দল করি এই দলের বাইরে কোন ওস্তাদ নেব না। আমাদেরকে এই দলীয় সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে থাকতে হবে।

আপনি যদি এরকম টি করেন তাহলে মুকাল্লেদ হয়ে যাবতি। আপনি যেভাবে মানুষকে মুকাল্লিদ বলেন। আমরা সবাই স্কলার নই আমরা সবাই মুস্তাহিদ নই। আমরা সবাই ইস্তেহাদ করার যোগ্যতা রাখি না। তাহলে আমাদেরকে নিঃসন্দেহেই এমন মানুষের কাছে যেতে হবে যে মানুষটি ইজতেহাদ করার যোগ্যতা রাখে। তিনি গবেষণা করে হাদিসের রেফারেন্স সহকারে যে মতামত দেবেন,  সেই মতামত টুকুকে শুধুমাত্র আমরা মিলানোর চেষ্টা করতে পারি এর চেয়ে বেশি কিছুই নয়। এবং অন্যান্য আলেম-ওলামাদের কাছে এটি নিয়ে আলোচনা করতে পারি যে আপনারা এ ব্যাপারে কি বলেন।

আমাদেরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে আলেম-ওলামাদের কাছে যেতেই হবে। এবং মাযহাব মানতেই হচ্ছে। বিষয়টা এমন নয় যে আমরা সবাই কুরআন হাদিস থেকে সরাসরি জ্ঞান অর্জন করতে পারি। কোরআন এবং হাদিস থেকে সরাসরি জ্ঞান অর্জন করার যোগ্যতা আমাদের সবার নেই। যদি না থাকে তাহলে জ্ঞান অর্জনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন, এই মাধ্যমটা নাযায়েস নয়। এটাই হচ্ছে আমাদের মূল সমস্যা,  আমরা নিজে নিজেই বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়।  আর এতে করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এবং মানুষকে আমার মতে আসতে আহ্বান করি,  আর যদি কেউ না আসে তাকে আমরা বলি সে খারেজি। এটা ঠিক নয়,  এটা ইসলামের সম্পূর্ণ বিপরীত।

তারাবির নামাজের নিয়ত

যে কোন নামাজের নিয়ত হচ্ছে মনের ইরাদা, এই নিয়তের উপরেই মানুষের আমল নির্ভরশীল, যদি সে সঠিকভাবে নিয়ত না করে তাহলে তার আমল কিভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। পূর্বেই বলেছি নিয়ত হচ্ছে মনের ইরাদা,  অন্তরের ইচ্ছা বা সংকল্প মুখে উচ্চারণ করতে হবে এমনটি নয়। যদি কেউ যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার ইচ্ছা করে, তাহলে সে শুধু বলবে আমি যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়িতেছি।  নিয়ত আরবিতে করতে হবে এমনটি নয়,  অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আলেম না হওয়া ব্যক্তিবর্গ আরবিতে নিয়ত করতে গিয়ে অনেক কিছুই ভুল করে ফেলে,  যা সে অনেক ফজিলত থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।  তারাবির নামাজ প্রতিবছরে একবার করে আসেএবং রমজান মাস জুড়েই এই নামাজ আদায় করতে হয়।তাহলে এই নামাজের নিয়ত করবেন কিভাবে? আমি এই ইমামের পিছনে তারাবির নামাজের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়িতেছি আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন।  যদি তাও না পারেন তাহলে,  আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবেন।  তার কারণ হচ্ছে আমি আগেই বলেছি নামাজ হচ্ছে মনের ইরাদা,  অন্তরের ব্যাপার।

তারাবির নামাজ কত রাকাত

আমাদের সমাজে যে তারাবির নামাজ পড়া হয়,  এই নামাজকে তারাবির নামাজ না বলে তাড়াতাড়ি নামাজ বলা উচিত। আমাদের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী নামাজের কোয়ালিটির দিকে গুরুত্ব না দিয়ে সংখ্যার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।  কেউ ৮ রাকাত কেউ ১১ রাকাত আবার কেউ ১২ রাকাত আবার কেউ ২০ রাকাত পড়ে থাকি। কিন্তু আমাদের উচিত ছিল,  আমরা কত সময় ধরে নামাজ পড়তেছি এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। সাহাবায় কেরাম ২০ রাকাত নামাজ পড়েছেন সেটা অবশ্যই সহি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ২০ রাকাত পড়েছেন এমন কোন সহি হাদিস নেই। তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো। ফজরের নামাজ দুই রাকাত এর পরিবর্তে চার রাকাত পড়া যাবে কি? তাহলে তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের জায়গায় ১০ রাকাত কিভাবে পড়বো? কথাটা আসলে এরকম নয়, নবী করীম সাঃ  ফজরের নামাজ কখনো দুই রাকাত কখনো চার রাকাত কখনো ছয় রাকাত এরকম পড়েছেন কি?  না কখনোই পড়েননি। ফজরের নামাজের রাকাত ফিক্সড। আর কিয়ামুল লাইল এর রাকাত ফিক্সড নয়। কখনো দুই, কখনো চার,  কখনো ছয়,  কখনো আট,  কখনো দশ,  কখনো ১২ রাকাত পড়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যে ১২ রাকাত পড়েছেন এটি সহি।  ৮ এর বেশি পড়েননি এমনটি নয়। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিনি দুই, চার,  ছয়, আট এবং ১২ রাকাত নামাজ তিন থেকে পাঁচ ঘন্টা সময়ের কমে কখনো পড়েন নি। এবং ১২ মাস পড়েছেন। তাই রাকাত নিয়ে ঝগড়া করা খুবই দুঃখজনক এবং এটা মুসলমানদের ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক।

আরো জানুন > বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে করণীয়

অনেকে মনে করেন ২০ রাকাতের কম পড়লে নামাজ হবে না এমনটি নয়।  আবার আট রাকাতের বেশি পড়লে নামাজ হবে না, এমন না, কারণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নিজেও আট রাকাতে বেশি পড়েছেন।  এবং এই নামাজের রাকাতের ব্যাপারে সংখ্যা উল্লেখ করে দেননি। এবং সাহাবায়ে কেরাম ১২ রাকাতেরও বেশি পড়েছেন, আর সুন্নত মানার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম সব থেকে অগ্রগামী। এবং মুসলিম উম্মার সকল ফকি এবং চার ইমাম এটিকে মেনে নিয়েছেন।  আর মেনে নিয়েছেন মানে এটি নাজায়েজ নয় এটি অবশ্যই সুন্নত সম্মত। এবং এর চেয়ে কম পড়লে গুনাহ হবে এমনটি তারা বলেননি। আমরা এই কমবেশি নিয়ে ঝগড়া না করি।  যারা ৮ রাকাত পড়ি তারা আটকে ঠিক রেখে সময়কে বাড়িয়ে দেই। সময়টা অন্তত দু'ঘণ্টা করে নেই।

তারাবির নামাজের দোয়া

আমরা নামাজ পড়ার পর বলে থাকি তারাবির নামাজের দোয়া আছে, বিশেষ করে চার রাকাত পর পর দোয়া পড়তে হয়।  আসলে এই দোয়ার কোন ভিত্তি নেই,এই দোয়াটি হাদিস ও কোরআন দ্বারা প্রমাণিত নয়। ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার হাদিসের নামে জালিয়াতি বইটিতে এই দোয়াটি হাদিসের নামে একটি জালিয়াতি বলে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃতির পক্ষে এই তারাবিতে আমরা ফাঁকি দিয়ে থাকি। তারাবি শব্দের মানে হলো বিশ্রাম। কেন বিশ্রাম?  হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিশ্রামের কোন উল্লেখ নেই। সাহাবীদের সময়ে যখন জামাতে তারাবি হতো, তারা বেশি সময় তারাবি পড়তেন না।  সাহাবীগণ তারাবি পড়তেন মাত্র এশা থেকে সেহরি পর্যন্ত। ছয় ঘন্টা মাত্র। কখনো আবার তিন থেকে চার ঘন্টাও হত। সাহাবীগণ এই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নামাজ পড়ার কারণে নামাজের মধ্যে কিছুটা বিরতি দিতেন এবং তারপর আবার নামাজ আদায় করতেন। আর আমাদের দেশে যে সময় এর মধ্যে তারাবি পড়া হয়, এরপরে আবার যদি বিরতি দেয়া হয় তাহলে এটাকে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে। এবং এই বিশ্রামের সময় কোন দোয়া নেই, আমাদের দেশের অনেক মসজিদেই ব্যাপক হারে এই দোয়াটি পড়া হয়ে থাকে। سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ -وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ -وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ -لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

অর্থাৎ আমরা যে দোয়াটা পড়ে থাকি এই দোয়াটা কুরান ও হাদিসের কোথায় উল্লেখ নেই।  এবং সাহাবায়ে কেরামগণ এ ধরনের কোন দোয়া করেননি। এই সময়ে হাত পা গুলো একটি নাড়িয়ে পরবর্তী নামাজের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে।  যদি কেউ পড়তেই চায় তাহলে সব চেয়ে বেশি সওয়াব হয় কোরআন তেলাওয়াতে, কোরআন তেলাওয়াত করা যেতে পারে। বা আল্লাহর জিকির করা যেতে পারে।


তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

আমাদেরকে একটি বিষয় অবশ্যই জানা থাকা দরকার যে, ফরজ বাদে যত নামাজ আছে সবই নফলের অন্তর্ভুক্ত। এই নফল এর ভিতর এসে এটিকে ক্লাসিফাইড করা হয়েছে,  যে এটা নফল এটা সুন্নত,  সুন্নতকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা সুন্নতে গায়রে মুক্কাদা।নফল মানে হলো  অতিরিক্ত  কিসের অতিরিক্ত, ফরজের অতিরিক্ত।  আর এই নফলের ব্যাপারে কোন অ্যাকাউন্টটিবিলিটি নাই,  এই ব্যাপারে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে না।  তবে এই কাজটির গুরুত্ব অনেক।  গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে এই অতিরিক্ত নামাজকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

 

ইয়াহইয়া ইমনে  বুকায়র (র) আয়েশা (রাঃ)  থেকে বর্ণিত,  তিনি বলেন,  রাসূলুল্লাহ (সাঃ) গভীর রাতে বের হয়ে মসজিদে সালাত আদায় করেন, কিছু সংখ্যক পুরুষ তার পিছনে সালাত আদায় করেন।  সকালে লোকেরা এই সম্পর্কে আলোচনা করেন,  ফলে লোকেরা অধিক সংখ্যায় সমবেত হন।  তিনি সালাত আদায় করেন এবং লোকেরা তার সঙ্গে সালাত আদায় করে।  সকালে তারা এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।  তৃতীয় রাতে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।  এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বের হয়ে সালাত আদায় করেন ও লোকেরা তার সঙ্গে সালাত আদায় করেন।  চতুর্থ রাতে মসজিদে মুসল্লির সংকুলন হলো না, কিন্তু তিনি রাতে আর বের না হয়ে ফজরের সালাতে বেরিয়ে আসলেন এবং সালাত শেষে লোকদের দিকে ফিরে প্রথমে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য দেওয়ার পর বললেন।  শোনো! তোমাদের ( গত রাতের)  অবস্থান আমার অজানা ছিল না,  কিন্তু আমি এই রাতে তোমাদের ওপর সালাত ফরজ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছি বিদায় বের হই নাই।  কেননা তোমরা তা আদায় করার অপারগ হয়ে পড়তে।  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত হলো আর ব্যাপারটি এভাবেই থেকে যায়। সহি বুখারী- ১৮৮৫


ইয়াহইয়া ইমনে  বুকায়র (র)..........আবু হুরায়রা (রাঃ)  থেকে বর্ণিত,  তিনি বলেন,  আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)  কে রমজান সম্পর্কে বলতে শুনেছি,  যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমজান। অর্থাৎ  তারাবির সালাত আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। সহি বুখারী -১৮৮২

আমরা এই হাদীসগুলোর মাধ্যমে জানতে পারি যে তারাবির নামাজ যদিও ফরজ না কিন্তু এ নামাজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  এটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কোন মুসলিমেরই এটি মিস করা উচিত না।

তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে

তারাবির নামাজ এবং রোজার সাথে কোন সম্পর্ক নেই,  কেউ যদি কোনো কারণে রোজা রাখতে না পারে তাহলে সে তারাবি পড়তে পারবে।  এবং তারাবির যে সওয়াব তা সে পেয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।  আবার কেউ যদি রোজা রাখে কিন্তু তারাবি না পড়ে তাহলে তার রোজাও হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।  যেহেতু রমজান মাস ফজিলত পূর্ণ মাস তাই এই মাসে পারত পক্ষে রোজা এবং তারাবির নামাজ কোনটি মিস দেওয়া উচিত নয়। 

তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ

উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবিহ, সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

যারা আরবি না জানে আরবিতে নিয়ত না করাই উত্তম পূর্বেই বলেছি নিয়ত হচ্ছে মনের ইরাদা।  তাই মনে মনে সংকল্প বা ইচ্ছা করলেই হয়ে যায়।তাই বাংলাতে নিয়ত করাই উত্তম।

আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।  তিনি বলেন,  রমজান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে দেখলেন,  কতগুলো মসজিদে একপাশে নামাজ পড়ছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এরা কারা?  বলা হলো,  এরা কিছুসংখ্যক লোক কুরআন জানে না।  ওবায় ইবনে কাব রাঃ  নামাজ পড়ছেন এবং তার সাথে জামাতে নামাজ পড়ছে।  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ  ওরা ঠিকই করেছে এবং যা করতেছে তা চমৎকার।  ইমাম আবু দাউদ রঃ  বলেন,  হাদীসটি তেমন শক্তিশালী নয়।  মুসলিম ইবনে খালিদ দুর্বল রাবী। এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে,  তারাবির নামাজ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ও জামাতে আদায় করা হয়েছে।  হাদিসটি রাবির দুর্বলতার কারণে শক্তিশালী না হলেও মুহাদ্দিস ও ফকিগণের মতে নফল এবাদতের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদিস গ্রহণযোগ্য। আবু দাউদ-১৩৭৭

No comments

Powered by Blogger.