ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ঈদ মানে খুশি। পবিত্র রমজান মাসের সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। একে রোজার ঈদ বলা হয়।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসের সিয়াম সাধনার পর সাহাবীদেরকে সঙ্গে নিয়ে শাওয়াল মাসের এক তারিখে দুই রাকাত নামাজ পড়ে পড়তেন এবং নামাজ শেষ করে খুতবা দিতেন। খুতবা শোনা ওয়াজিব।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত
আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীরের সহিত ( মুক্তাদী হইলে) এই ইমামের পিছনে আদায় করিতেছি আল্লাহু আকবার।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবিতে
نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ- رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ- مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى- اِقْتَضَيْتُبِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম
ক) তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে।
খ) সানা পড়তে হবে- সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমোকা ওয়া তাআয়লা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
গ) এরপর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেওয়া। প্রথম তাকবীরের সময় দুহাত কান পর্যন্ত উঠাইয়া আল্লাহু আকবার বলিয়া হাত ছাড়িয়ে দিবে। দ্বিতীয় তাকবীরের সময়ও অনুরূপ করিবে। তৃতীয় তাকবীরের সময় হাত উঠাইয়া আল্লাহু আকবার বলিয়া হাত বাধিয়া নিতে হবে।
ঘ) এরপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ার পর সুরা ফাতেহা পড়িতে হইবে, সুরা ফাতেহা শেষ হইলে অন্য একটি সূরা মিলাতে হইবে। এরপরনিয়মিত নামাজের ন্যায় রুকু সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবে।
আরো জানুন > শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম
ঙ) দ্বিতীয় রাকাতে আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ার পর সুরা ফাতেহা এবং সেই সাথে অন্য একটি সূরা পড়তে হইবে। সূরা শেষ করার পরেরুকুর পূর্বে তিন তাকবীর বলিতে হইবে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় তাকবীরে দু’ হাত উঠাইয়া ছাড়িয়া দিতে হইবে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলিয়া রুকুতে চলিয়া যাইবে এরপর নিয়মিত নামাজের ন্যায় রুকু সেজদা করার পরে আত্তাহিয়াতু দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করার পরে সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করিবে। নামাজ শেষ হবার সাথে সাথে ইমাম সাহেব মিম্বরে উঠিয়া খুতবা পাঠ করিবেন।
চ) খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুদবার সময় মুসল্লিগণ এদিক ওদিক হাঁটাচলা কিংবা কোন কথা বলিতে পারিবে না। কোন ঈদে আজানবা ইকামত নেই।
No comments
Post a Comment