Header Ads

Header ADS

শবে কদরের নামাজের নিয়ম

শবে কদর মানে হচ্ছে লাইলাতুল কদর, শবে কদর শব্দটি ফারসি শব্দ। শবে কদরের অর্থ মহামান্বিত রাত। মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনেক মর্যাদা দিয়েছে। কদরের এই রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়।

মুফাসিলগড় সাধারণভাবে এর অর্থ করেছেন,  এ রাতের সৎ কাজ হাজার মাসের সৎ কাজের চেয়ে ভালো। কদরের রাত এই গণনার বাইরে থাকবে।  সন্দেহ নেই কথাটির মধ্যে যথার্থ সত্য রয়ে গেছে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতের আমলের বিপুল ফজিলত বর্ণনা করেছেন। কাজেই বুখারী ও মুসলিমে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে,  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান লাভের উদ্দেশ্যে এবাদতের জন্য দাঁড়ালো তার পিছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হয়েছে। 

নামাজের নিয়ত আরবীতে

বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই ছালাতি লাইলাতিল কদর নাফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লাইলাতুল কদরের দুই রাকাত বা নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার।  

শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম

লাইলাতুল কদর বা সবে কদরের নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। লাইলাতুল কদরে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করে নেবে।  তবে সতর্কের বিষয় হচ্ছে নামাজের রাকাতের সংখ্যার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে নামাজের কোয়ালিটির দিকে গুরুত্ব দেওয়া উত্তম। দুই রাকাত করে যত খুশি পরা যেতে পারে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই রাত্রিতে কোরআন তেলাওয়াত তসবি তাহলিল জিকির,ইস্তেগফার,তওবা করতে হবে। বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। 

এই রাত্রে যে দোয়া বেশি পড়তে হয়

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম কদরের রাত্রিতে আমার কোন দোয়াটি পড়া উচিত? তিনি আমাকে বলার জন্য নির্দেশ দিলেন। “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি” অর্থাৎ  হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন তাই আমাকে ক্ষমা করুন। ( সুনানে ইবনে মাজাহ)

No comments

Powered by Blogger.