রোজার ফজিলত।রোজার উপকারিতা।rojar fojilot
রোজার ফজিলত।রোজার উপকারিতা।চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা। রোজার মাধ্যমে কে উপকৃত হবে আর কে হবে না?
রোজার উদ্দেশ্য কি?
একজন মানুষের কার্যক্ষেত্রে অবশ্যই দুটি দিক থাকা আবশ্যক। একটি হচ্ছে কার্যক্ষেত্রের উদ্দেশ্য। অন্যটি হচ্ছে সেই উদ্দেশ্যকেই হাসিল করার জন্যে গৃহীত পন্থা অর্থাৎ কিভাবে সে কাজটি করবে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখানে আমরা ভাত খাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারি। ভাত খাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে বেঁচে থাকা এবং শারীরিক শক্তির স্থায়িত্ব। এই উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মানুষকে খাবার তৈরি করতে হয়,মুখে দিতে হয়, চিবাতে হয়, গিলতে হয়। খাবার জন্য সবথেকে কার্যকরী এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রন্থা এর চেয়ে আর অন্যটি নেই।
আরো জানুন > রোজার নিয়ত। রোজা রাখার নিয়ত। রোজার নিয়ত বাংলা
এজন্যই খাওয়ার কাজ সমাধান করার জন্য এই পদ্ধতিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে খাওয়ার এই উদ্দেশ্যটি আসল বস্তু নয়। কোন ব্যক্তি যদি এই চারটি নিয়ম ফলো করে, মাটি কাঁদা ছাই এবং আবর্জনা বস্তু খেয়ে ফেলে তাহলে কি তার কোন উপকার হবে? তিনি তো খাবার সব কটি পদ্ধতি সঠিক মত পালন করেছে। তারপরেও আমরা তাকে বলবো যে, তার মাথা খারাপ হয়েছে। আবার কোন ব্যক্তি যদি খাবার খাওয়ার পর তার পেট ভারী হয়েছে মনে করে পেটটা কে হালকা করার জন্য সমস্ত খাবার বমি করে ফেলে দেয় এবং বলে আমার শরীর দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, আমি জীবন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। এজন্য তিনি খাবারকে দোষারোপ করছে। যে এর মাধ্যমে কোন উপকার হচ্ছে না। আমি তো খাবারের সব কটি বাহ্যিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছি তারপরও আমার এ অবস্থা কেন?
তার তো বোঝা উচিত ছিল খাবার যতক্ষণ পর্যন্ত তার পাকস্থলীতে যেয়ে রক্তে পরিণত না হবে সেই পর্যন্ত খাবারের আসল উদ্দেশ্য হাসিল হবে না। এবং খাবার থেকে আমরা উপকৃত হতে পারব না। মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদেরকে যে নিয়মে চলার জন্য তাকিদ করেছেন, আমাদেরকে সেই নিয়মেই চলতে হবে। আল্লাহর দেওয়া নিয়মকে লংঘন করলে ধ্বংস অনিবার্য। এখানে যে উদাহরণটি সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা হইল তা বর্তমানের মুসলমানগন অনুধাবন করলেই বুঝতে পারবে যে।
বর্তমান মুসলমানদের এবাদত নিষ্ফল হওয়ার কারণ কি?
বর্তমান মুসলমানগন নামাজ রোজার আরকান এবং আহকাম অর্থাৎ বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠানকেই আসল এবাদত মনে করে থাকে। অথচ এর থেকে আর বড় ভুল কি হতে পারে। আমরা মনে করি থাকি যে এই অনুষ্ঠানগুলি সঠিকভাবে আদায় করতে পারলেই এবাদত সুসম্পন্ন হল। এটাই হল আমাদের মুসলমানদের ভ্রান্তি ধারণা। যদি এই ধারণাটি ভুল হয়ে না থাকে, তাহলে একজন রোজাদার ব্যক্তি কিভাবে মিথ্যা কথা বলে, কিভাবে অন্যের গীবত করে, তার মুখ থেকে কুরুচিপূর্ণ শব্দ কিভাবে উচ্চারিত হয়, এবং অন্যের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে, অন্যের হক কিভাবে ভক্ষণ করে। হারামকে কিভাবে হালাল বানিয়ে নেয়। এটা তিনি এমন খাবার খেয়েছে যে সেটাকে মাটি বালি ময়লা আবর্জনার সাথে তুলনা করা যায় যা শরীরের কোন উপকার করার পরিবর্তে আরো ক্ষতি করবে। এরকম এবাদত দিয়ে আমরা কিভাবে লাভবান হতে পারব।
গোটা রমজান মাস আল্লাহর এবাদত করার পর, মুসলিমরা যখন অবসর গ্রহণ করে, তখন শাওয়ালের প্রথম তারিখেই ইবাদতের সকল প্রভাব একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়। হিন্দু জাতি তাদের মেলা উৎসবে যা কিছু করে, মুসলিম জাতীয়তার ব্যতিক্রম নয়, তাদের সাথেই সুর মিলায়। এমনকি শহরাঞ্চলে ঈদের দিন ব্যয় বিচার, নাচ গান,মদ পান আর জুয়া খেলার তুফান বইতে শুরু করে। অনেক লোককে আবার দেখা যায় দিনের বেলায় রোজা ঠিকই রাখে মিথ্যা কথা বলে এবং রাতের বেলায় মদ খায় এবং সেই সাথে জিনা করে। তাই আমরা বলতেই পারি আমাদের মুসলমানদের মনে এবাদতের যে ধারণা সঞ্চালিত হচ্ছে তার সম্পূর্ণই ভুল।
আমরা মনে করি থাকি যে শুভহ-সাদিক থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন কিছু না খেয়ে থাকার নামই রোজা। তাই রোজা ভঙ্গের কারণ গুলি আমাদের সবসময়ই স্মরণ রেখে থাকে যাতে করে রোজা নষ্ট হয়ে না যায়। এমনকি প্রাণের আশঙ্কা দেখা দিলেও আমরা কেউ রোজা ভাংতে রাজি নই। কিন্তু আমরা মুসলমানরা এটা বুঝতে পারি না যে ক্ষুধার্ত এবং পিপাসিত থাকার নামই রোজা নয় এটাকে আল্লাহর দেওয়া ইবাদতের পর্যায়ে পড়ে না। আর এটা হচ্ছে ইবাদতের বাহ্যিক অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠান পালন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিমদের মনে ভয় আর ভালোবাসা জাগ্রত করা। মুসলমানদের মধ্যে যেন এমন শক্তি জেগে ওঠে যে যত বড় লাভজনক কাজই হোক না কেন তা যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তা পরিত্যাগ করে। এবং কঠিন বিপদের কাজ কেউ যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তা গ্রহণ করে। আর এই শক্তি তখনই মানুষের মধ্যে সঞ্চালিত হবে যখন রোজার আসল উদ্দেশ্য তারা বুঝতে পারবে। এবং রমজানের পুরা মাস আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসায় নিজের মনকে নফসের খায়েশ হতে ফিরিয়ে রাখবে, আর আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য নিজেকে প্রস্তুত হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান মুসলমান সমাজ রমজানের পরেই এ অভ্যাস এবং অভ্যাস লব্ধ এই গুণগুলো এমন ভাবে হারিয়ে ফেলে যেমন কোন ব্যক্তি ভাত খেয়ে অমনি সাথে সাথে বমি করে দিল। তাহলে এই খাবার আর তার শরীরের জন্য কি কাজে আসবে। তেমনি ভাবে রোজা থেকে কিভাবে সফলতা আসতে পারে কিভাবে আমরা রোজার মাধ্যমে রোজার ফজিলত আশা করতে পারি?
রোজার ফজিলত।রোজার উপকারিতা
অনেক মুসলমানই ইফতার করার সাথে সাথেই সারাদিনের পরহেজগারী এবং তাকওয়াকে উগড়িয়ে ফেলে। এই অবস্থায় রোজার আসল উদ্দেশ্য কখনোই হাসিল হতে পারে না। তা একজন সাধারণ মানুষই বুঝতে পারে। রোজা কোন জাদু টোনা নয় যে এর বাহ্যিক দিক পালন করলেই আসল উদ্দেশ্য হাসিল হবে। ভাত হতে ততক্ষণ পর্যন্ত শারীরিক শক্তি লাভ করা যায় না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা পাকস্থলীতে যেয়ে, হজম হয়ে রক্তে পরিণত হয়ে তা শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয়। তেমনি রোজার মাধ্যমেও নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত রোজা আসল উদ্দেশ্য ভালোভাবে বুঝতে না পারবে এবং তার মন ও মস্তিষ্কের মধ্যে অঙ্কিত না হবে এবং চিন্তাও কল্পনা, ইচ্ছা ও কর্ম সবকিছুর অপর তা একেবারে প্রভাবশালী হয়ে না যাবে।
এ কারণেই মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোজা কে ফরজ করা হয়েছে যেমন ভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্বপুরুষদের উপর যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পারো।সূরা আল বাকারা-১৮৩। মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর বলেছেন لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ অর্থাৎ তোমাদের উপর রোজা কে ফরজ করা হয়েছে আশা করা যায় তোমরা মুত্তাকী ও পরহেজগার হতে পারবে। মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কিন্তু বলেননি যে তোমরা অবশ্যই মুত্তাকী ও পরহেজগার হতে পারবে। তার কারণ হলো রোজা হতে যে ফজিলত লাভ করা যায় তা রোজাদারের ইচ্ছা আকাংখা ও আগ্রহের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে।
যে ব্যক্তি এই রোজার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারবে এবং এর দ্বারা মূল উদ্দেশ্য লাভের চেষ্টা করবে সে কমবেশি মুত্তাকী হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ অনেক রোজাদার এমন আছে কেবল খোদা আর পিপাসা ছাড়া তাদের ভাগ্যে আর কোন কিছুই জুটবে না। তেমনি রাত্রে এবাদতকারী অনেক মানুষ আছে। যারা রাত্রি জাগরন ছাড়া আর কোন কিছুই লাভ করতে পারবে না। রোজার মাধ্যমে আমরা কিভাবে রোজার ফজিলত লাভ করতে পারি, রোজা থেকে উপকার পেতে পারি তা আল্লামা ইকবালের ‘’খুদী’’ ধারণার মাধ্যমে পরিষ্কার করা যায়। মানুষের ‘’খুদী’’-আত্মজ্ঞান যখন তার দেহ এবং অন্যন্য শক্তি সমূহ কে পরিপূর্ণরূপে আওতাধীন করে নিতে পারে এবং মনের যাবতীয় কামনা-বাসনা ও আবেগ উচ্ছ্বাসকে নিজের সিদ্ধান্তের অধীন ও অনুসারী করে তুলতে পারে ঠিক তখনই হয় আত্মসংযম। একটি দেশের রাষ্ট্রপতির মর্যাদা যে রূপ মানব দেহের খুদীর মর্যাদাও ঠিক অনুরূপ। একজন মানুষের দৈহিক ও মস্তিষ্কের যে শক্তি রয়েছে সেই শক্তি খুদীর খেদমত করে থাকে। নফস বা প্রবৃত্তি ‘খুদী’র সামনে নিজের কামনা বাসনার কেবল আবেদন পেশ করতে পারে,অন্য কিছু করার ক্ষমতা তার নেই। এই সকল অস্ত্র ও শক্তি সমূহ কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে এবং নফসের আবেদনকে মঞ্জুর করা হবে কিনা সেই সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার কেবলমাত্র ‘খুদী’ রই রয়েছে। এখন কোনো খুদি যদি দুর্বল হয়, মানব এই দেহরাজ্যে নিজের ইচ্ছেমতো শাসন চালাবার ক্ষমতা যদি তার নাই থাকে এবং নফসের আবেদন যদি নির্দেশের অনুরূপ হয় তবে সেই ‘‘খুদী’’ বড় অসহায়, পরাজিত, নিষ্ক্রিয় এবং কি তাকে মৃত বলা যায়।
যে চালক তার গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। সে চালক কিভাবে লক্ষ্যে পৌঁছবে। সে তো রাস্তার খাদে পড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের দুর্বল প্রকৃতির মানুষ দুনিয়ায় কোনদিন সফল জীবনযাপন করতে পারেনা। মানুষের ইতিহাসে যারাই নিজেদের কোন প্রভাব ও স্থিতি উজ্জ্বল করে রেখে গেছেন তাদের প্রত্যেককেই নিজের আভ্যন্তরীণ সমগ্র শক্তিকে বল প্রয়োগ করে হলেও নিজের অধীন ও অনুগত করে নিয়েছেন। তারা কোনদিনই নফসের লোভ-লালসার দাস এবং আবেগ উচ্ছ্বাসের গোলাম হননি, তারা সবসময়ই তার মনিব বা পরিচালক হিসেবেই রয়েছে। তাদের ইচ্ছা বাসনা অত্যন্ত মজবুত এবং সংকল্প অটল ছিল।
যে ‘‘খুদী’’ নিজেই খোদা হয়ে বসে এবং যে ‘‘খুদী’’ আল্লাহর দাস ও আল্লাহর আদেশ অনুগামী হয়ে থাকে, এই দুই প্রকার ক্ষুদির মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। যে ‘‘খুদী’’ নিজেই খোদা হয়ে বসে সে ‘‘খুদী’’ দুনিয়ার ফেরাউন, নমরুদ, হিটলার, ও মুসোলিনি এদের মত বড় বড় ফাসাদ সৃষ্টিকারী তৈরি করতে পারে। এরূপ আত্মসমর্পণ কখনোই প্রশংসনীয় হতে পারে না। ইসলাম এই ধরনের আত্ম সংযমকে কখনোই সমর্থন করে না। তার কারণ হলো মানুষের ‘‘খুদী’’ নিজ আল্লাহর সামনে বিনয়াবনত হবে, আনুগত্যের মস্তক অবনত করবে, তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য চেষ্টা করবে, তার সামনে নিজেকে দায় মনে করবে, তার অবনত মস্ত কেবলমাত্র তার কাছেই নোয়াবে। এবং তার আইনের আনুগত্য করাকে নিজের প্রধান কাজ হিসেবে গ্রহণ করবে। ইসলাম এরূপ ‘‘খুদী’’ সমর্থন করে। এরূপ অনুগত ও বিশ্বস্ত ‘‘খুদী’’ই সিরো দেহ ও শক্তি নিজের ওপর নিজের প্রভুত্ব ক্ষমতা এবং তার মন ও কামনা-বাসনার ওপর স্বীয় শক্তি আধিপত্য কায়েম করবে যেন তা দুনিয়া সংস্কার সংশোধন করার জন্য এক বিরাট শক্তিরূপে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা:
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। হৃদস্পন্দন নিয়মিত হয়, কিছুটা রিলাক্স পায়। রোজা রাখলে শরীর থেকে কমে যাবে চর্বি কোলেস্টেরল এবং পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাসিড, এতে করে লিবারের উপর প্রেশারটাও অনেক কমে যায়। রোজা রাখলে হজমের বিভিন্ন গ্রন্থিররস নিঃসরণও অনেক কমে যায়, আলসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যায়, যদি কেউ রোজা রাখে নন-ইনসলিং ড্রাইভেটিস ক্ষেত্রেও রোজার উপকারিতা রয়েছে। রোজা রেখে শরীরের ওজন কমানো যায়। রোজা মানব শরীরের সমস্ত হজম ক্রিয়ার পদ্ধতিকেই উন্নত করে এবং নার্ভাস সিস্টেমের ও উপকার করে। রোজা রাখলে শরীরের টক্সিন এর পরিমাণও কমে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। রোজা রাখলে শরীর তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় না এবং কি রোজা রাখলে মানুষের আয়ও বেড়ে যেতে পারে। রোজা রাখলে শরীরে বেশি করে টিসিএল তৈরি হয়, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। রোজা সামগ্রিকভাবে একটি মানব শরীরকে মেরামত করে নতুন রূপে তৈরি করে। বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ অ্যাজমার ক্ষেত্রেও রোজার উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন চর্ম রোগের ক্ষেত্রেও রোজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও যারা বিভিন্ন ধরনের জিনিসের প্রতি আসক্ত, তারা এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারে। রোজার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তার ইচ্ছা থাকে।
No comments
Post a Comment