Header Ads

Header ADS

সেহরির দোয়া।সেহরি খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

এক বছর যেতে না যেতেই মুসলিম উম্মার দ্বার প্রান্তে আবার চলে এলো পবিত্র রমজান মাস। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ অথবা ১৩ মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে। তাই রোজার শুরুতে সেহরি ও শেষে ইফতারি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেহরির পর রোজার নিয়ত আবার ইফতারের পর ইফতারের দোয়াএবং ইফতারের আগে ও পরে রয়েছে দোয়া ও তাসবিহ। তাই রোজা শুরুর আগে ও ইফতারের পূর্বে ও পরের দোয়া ও তাসবীহগুলো শিখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সঠিক নিয়মে সেহরি ও ইফতারের কার্যক্রম সম্পন্ন করলে রোজার মর্যাদা অনেকাংশে বৃদ্ধি ভাবে এটাই স্বাভাবিক। দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময় এটি। রহমত বরকত ও নাজাতের ভরপুর এই মাসটি,  তাই এই সময়টিকে কখনো হাতছাড়া করা যাবে না।  এই সময়ে একটি ভালো কাজ অনেক ভালো কাজের রূপান্তরিত হয়।  তাই বেশি বেশি নেক কাজ এই সময়ে করা উচিত। তাই এই বরকত পূর্ণ মাসে ফরজ রোজা শুরুর পূর্বে সেহেরি খাওয়ার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া জেনে নেওয়ার এখনই মোক্ষম সময়।  তাই এই বিষয়গুলোকে সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে তুলে ধরা হলো।

রোজা রাখার আদেশঃ-

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা কে ফরজ করা হয়েছে যেমন ভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্বপুরুষদের ওপর যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পারো। সূরা আল বাকারা-১৮৩।

সেহরির দোয়া

রমজানের রোজা পালনের জন্য সেহরি খাওয়া আবশ্যক। এটি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ। অনেক লোক এমন আছে যে গভীর রাত ধরে তারাবির নামাজ পড়ার পর খেয়ে ঘুমিয়ে যায় পরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে রাত্রিতে কোন সেহরি খায় না। এরকম করলে সেহরির যে বরকত রয়েছে সেই বরকত থেকে সে বঞ্চিত হবে।

আরো জানুন > রোজা ভঙ্গের কারণ এবং সেই সাথে কাজা ওয়াজিব হওয়া 

হযরত তানাস ইবনে মালেক রাঃ বলেন,  নবী করীম (সা:) বলেছেন,  তোমরা সেহরি খাও।  কেননা সেহরি খাওয়ার বরকত লাভ হয়। সহি বুখারী-১৮০১  ও সহীহ মুসলিম)

সবথেকে বেশি ব্যবহৃত রোজার নিয়তঃ نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ- فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান আসুমা গাদাম মিন সাহারি, রমাদান মোবারক কে, ফারদাললাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থঃ আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের ফরজ রোজা রাখিবার নিয়ত করলাম।  হে আল্লাহ তুমি শ্রবণকারী ও জ্ঞানী,  উহা আমার নিকট হইতে গ্রহণ করো। যদি কোন কারণে রাত্রে নিয়ত না করা হয়,তবে পরের দিন দ্বিপ্রহরের পূর্বে করা হইলে সেই স্থলে গাদাম না বলে সেখানে আল ইয়ামা বলিতে হইবে।

রোজার জন্য নিয়ত করা ফরজ।  রমজানের ফরজ রোজা রাখার জন্য অবশ্যই নিয়ত করতে হবে।  তবে নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে পড়তে হবে এমনটি নয় পূর্বেই আলোচনা করেছি নিয়ত করছে মনের ইরাদা।  সংকল্প করা ইচ্ছা করা, তাই কেউ যদি ইহা মনে মনে করে তাও হয়ে যাবে। মুখে রোজার প্রচলিত নিয়ম আরবি অথবা বাংলা উচ্চারণ করে অন্তরে দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে নিয়ত করাই উত্তম। কেউ যদি এমনটি নিয়ত করে আমি আগামীকাল রমজান মাসের রোজা রাখার জন্য নিয়ত করছি।  তাহা হইলেও হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

No comments

Powered by Blogger.