এশার নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয়।
এশার নামাজ কয় রাকাত
এশার নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয়। এশার নামাজ পড়ার নিয়ম। বেতের নামাজ কি এশার নামাজের মধ্যে পড়ে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত নফল নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল সে যেন সম্পূর্ণ রাত্রি জাগ্রত হয়ে নামাজ আদায় করল সহীহ মুসলিমঃ ১৩৭৭।
আরো জানুন > এশার নামাজের আসল সময়
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারলাম এশার নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম তাই পারত পক্ষে এই নামাজের জামাতের সাথে পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।এশার নামাজ ১৫ রাকাত, কেউ আবার বলেছে ১০ রাকাত, কেউ আবার বলে ১২ রাকাত। এই বিভ্রান্তি থেকে উত্তরণের জন্য এশার নামাজ সম্পর্কে একটু বিস্তারিত নাজানলেই নয়।
এশার নামাজের প্রথমেই আছে চার রাকাত সুন্নতঃ
এশার নামাজে প্রথমেই আসে চার রাকাত সুন্নত, এই সুন্নত নামাজ পড়লে সব আছে না পড়লে কোন গুনাহ নেই। তাই অনেক মুসল্লি এই সুন্নত নামাজ আদায় করে আবার অনেকেই কার্যবিশেষে আদায় করে না।
চার রাকাত ফরজ।
ফরজ নামাজ অবশ্যই পালনীয়। এ নামাজ প্রত্যেক নর নারীকেই পড়তে হবে।দুই রাকাত সুন্নতঃ অর্থাৎ চার রাকাত ফরজ নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়তে হয়, যা অবশ্যই পালনীয়। এই হলো মোট ১০ রাকাত।
দুই রাকাত নফলঃ
দুই রাকাত নফল নামাজ পড়লে সওয়াব হয় না পড়লে কোন গুনাহ নেই। এই নফল নিয়ে যোগ করলে এশার নামাজ হয় ১২ রাকাত।
তিন রাকাত বেতের।
বেতরের নামাজ যদিও এশার নামাজের অংশ নয়। তবে দেশের বেশিরভাগ মুসল্লিগণ এশার নামাজের সাথেই এই নামাজ পড়ে থাকে। এজন্যই অনেকেই এশার নামাজের সাথে পরে থাকে, এই কারণে পূর্বের ১২ রাকাত আর বেতরের তিন রাকাত মিলিয়ে হয় ১৫ রাকাত।
সর্বশেষে আমরা বুঝতে পারলাম যে এশার নামাজ মূলত ১২ রাকাত বা দশ রাকাত।
No comments
Post a Comment