কুরবানী কার উপর ওয়াজিব। কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব
কুরবানী করা কি
কুরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব। সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো নর-নারী যদি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে১২ই জিল হজ্ব সূর্য অস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে,তার প্রয়োজন ব্যতীত নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয় তাহলে এমন ব্যক্তির ওপর কুরবানী ওয়াজিব হয়।
কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব
টাকা পয়সা গয়না অলংকার বসবাসযোগ্য অতিরিক্ত বাড়ি ও প্রয়োজন অতিরিক্ত জমি। ব্যবসায়িক পণ্য ও অতিরিক্ত আসবাবপত্র কুরবানীর নিসাবের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য। আর নিসাব হলো সাড়ে সাত (৭.৫০) ভরি স্বর্ণ ও সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা এর সমপরিমাণ টাকা।
কুরবানীর গোশত বন্টন
কোরবানির গোস্ত ধনী-গরিব সবার মাঝেই বন্টন করা যাবে। সুন্নত হল কিছু অংশ আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া, এবং কিছু অংশ গরিব পাড়া-প্রতিবেশীদের দেওয়া এবং কিছু অংশ নিজের পরিবারের জন্য রাখা। যত বেশি গোস্ত গরিবদের মাঝে বন্টন করা যাবে তত ভালো।প্রয়োজনে সম্পূর্ণটাও রাখা যাবে। অনেকে সাত ভাগের এক ভাগ দিয়ে থাকেন আবার অনেকে সামান্য রেখে পুরোটাই দিয়ে দেন। আসলে কুরবানীর গোশত কারো জন্য পুঞ্জিত করে রাখা অনৈতিক ও অমানবিক কাজ। তবে বিশেষ কোন ব্যক্তির জন্য শখের বসে অল্প পরিমাণ রাখলে দোষের কিছুই নেই।
আরও জানতে > আকিকার নিয়ম ও উপকারিতা
কুরবানীর পশুর বয়স
ইসলামের শরীয়তের পরিভাষায় কুরবানীর ক্ষেত্রে পশুর বয়স খেয়াল রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কুরবানীর দেওয়ার সময় উটের বয়স সর্বনিম্ন পাঁচ বছর হওয়া উচিত। কোরবানির সময় গরু বা মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। এবং ছাগল ভেড়া বা দুম্বার ক্ষেত্রে এক বছর বয়স হতে হবে। তবে যে পশুটি কুরবানি করবে সেটি যদি দেখতে নাদুস-নুদুস বড়সড়ো হয় তাহলে বয়স সামান্য কম হলেও কুরবানী করা যাবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
No comments
Post a Comment