Header Ads

Header ADS

মুনাফিক কাকে বলে।মুনাফিকের লক্ষণ কয়টি

মুনাফিক শব্দের অর্থ কি

মুনাফিক  আরবিতে منافق (মুনাফিক) এর বহুবচন মুনাফিকুন যার অর্থ হয় প্রতারক বা ভন্ড ধার্মিক ব্যক্তি।

মুনাফিক কাকে বলে

মুনাফিক শব্দটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ,  এককথায় এর উত্তর দেওয়া কখনই সম্ভব নয় তবে যদি কেউ নাছোড়বান্দা হয় তবে বলতে পারে, যার ভিতরে এক বাইরে আরেক তার নাম মুনাফিক। প্রকাশ করে একটা ভিতরে আরেকটা।

মুনাফিকের লক্ষণ কয়টি

মুনাফিকরা এমন হয় যে, যে যখন সুবিধা স্থানে থাকে তখন সে তার সাথে থাকে। যখন যে ক্ষমতায় থাকে তাকেই তেল মারে। আর মুমিন একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি। তারমধ্যে শিরক ফিসক, নিফাক, মিথ্যা,  হিংসা,লোভ রাগ ইত্যাদির সংমিশ্রণ ঘটে না। কিন্তু মুনাফিকের মধ্যে এগুলো বিদ্যমান থাকে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মোনাফিক সম্পর্কে সুরা বাকারার আট নাম্বার আয়াত থেকে শুরু করে ২০ নাম্বার আয়াত পর্যন্ত মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।  এবংপবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরায় মোট ৩৮ টি আয়াতে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন।  এর মধ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। 

মুনাফিকের বৈশিষ্ট্যঃ

১। কথায় কথায় মিথ্যা বলে।
২। ওয়াদা করলে খেলাফ করে।
৩। আমানতের খেয়ানত করে।

কিছু লোক এমনও আছে যারা বলে, আমরা আল্লাহর অপর ও আখেরাতের দিনের ওপর ঈমান এনেছি,  অথচ তারা মুমিন নয়।  তারা আল্লাহর সাথে ও যারা ঈমান এনেছে তাদের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। আসলে তারা নিজেরাই প্রতারিত হচ্ছে, তবে তারা এ ব্যাপারে সচেতন নয়। 

তাদের হৃদয় আছে একটি রোগ, আল্লাহ সেই রোগ আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর যে মিথ্যা তারা বলে তার বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।  যখনই তাদের বলা হয়েছে, জমিনে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না, তারা তারা বলতেছে যে , আমরা তো সংশোধনকারী। তবে সাবধান! এরাই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে, তারা এ ব্যাপারে সচেতন নয়।

আরো জানতে> মুত্তাকী কাকে বলে 

আর যখন তাদের বলা হয়েছে, অন্য লোকেরা যে ভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সে-ভাবে ঈমান আনো।  তখন তারা এই জবাব দিয়েছে যে,  আমরা কি ঈমান আনব নির্বোধের মত? সাবধান! আসলে এরাই নির্বোধ,  কিন্তু এরা জানে না।  যখন এরা মুমিনের সাথে মিলিত হয়,  তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি,  আবার যখন নিরিবিলিতে নিজেদের শয়তানের সাথে মিলিত হয় তখন বলে আমরা তো সত্যিকারে তোমাদের সাথেই আছি আর তাদের সাথে তো নিছক তামাশা করছি।

মহান আল্লাহর সুবহানা তায়ালা  এদের সাথেও তামাশা করছেন,  এদের রশি দীর্ঘায়িত বা ডিল দিয়ে যাচ্ছেন এবং এরা নিজেদের আল্লাহদ্রোহীতার মধ্যে অন্ধকারের মত পথ হাতড়ে মরছে।  এরা হিদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহী কিনে নিয়েছে,  কিন্তু এর সওদাটি তাদের জন্য লাভজনক নয় বরং এরা মোটেই সঠিক পথে অবস্থান করছে না।  এদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে,  যেমন এক ব্যক্তি আগুন জ্বালালো এবং যখনই সেই আগুন তার পাশ আলোকিত করল তখন আল্লাহ তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিলেন এবং তাদের ছেড়ে দিলেন এমন অবস্থায় যখন অন্ধকারের মধ্যে তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। 

No comments

Powered by Blogger.