Header Ads

Header ADS

মুত্তাকী কাকে বলে। মুত্তাকী অর্থ কি। মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য,

মুত্তাকী অর্থ আল্লাহ ভীরু, তাকওয়া অর্জনকৃত ব্যক্তিকে মুত্তাকি বলা হয়।

মুত্তাকী কাকে বলে

যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে এবং যারা পাপ থেকে বেঁচে আছেন তারাই মুত্তাকী। 

পবিত্র কুরআনের ভাষায় মুত্তাকী

তারাই মুত্তাকী যাদের ঈমান পূর্ণাঙ্গ এবং আমল ও পূর্ণাঙ্গ।  ঈমান এবং আমল এই দুইয়ের সমন্বয়ে ইসলাম। সূরা আল বাকারার দ্বিতীয় নম্বর আয়াতে ঈমানের পূর্ণাঙ্গ। সংজ্ঞা দেওয়ার সাথে সাথে ইসলামের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ও আলোচনা করা হয়েছে।

মুত্তাকী হতে হলে করণীয়ঃ

একজন ব্যক্তিকে মুত্তাকী হতে গেলে কয়েকটি গুণে গুণান্বিত হতে হবে।  সর্বপ্রথম যে গুণটি আসে সেটি হল, ভালো ও মন্দের পার্থক্য করার ক্ষমতা তার থাকতে হবে। এরমধ্যে খারাপ থেকে নিষ্কৃতি এবং ভালো কে গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষাএবং এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করার ইচ্ছা থাকতে হবে। যারা দুনিয়ায় পশুর মত জীবন যাপন করে, নিজেদের কাজকর্ম সঠিক কিনা সে ব্যাপারে চিন্তা করে না। যে দিকে সবাই চলছে নিজেকেও সেদিকে সুপে দেয়, যে দিকে মন চায় সেদিকেই চলতে থাকে তারা কখনোই মুত্তাকী হতে পারবে না।

আরো জানুন > ঈমান কাকে বলে

পবিত্র কুরআনের ভাষায় মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীঃ 

পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় মুক্তাকিদের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী উল্লেখ করেছেন الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ- وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ - والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ -وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ- وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ  

যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নামাজ কায়েম করে, এবং আমি যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যে কিতাব তোমাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে, এবং তোমাদের আগে যে কিতাব নাজিল করা হয়েছিল, সেই সবগুলোর ওপর ঈমান আনে, আর আখেরাতের ওপর একিন রাখে। এই ধরনের লোকেরা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং কল্যাণ লাভের অধিকারী। সূরা আল বাকারা- ২-৫। 

গায়েব বা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস।

গায়ে বা অদৃশ্য বলতে এমন গভীর সত্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। যা মানুষের ইন্দ্রিয়াতীত এবং কখনোই সরাসরি সাধারণ মানুষের প্রত্যক্ষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় ধরা পড়ে না।  যেমন আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলী ফেরেশতা ওহী জাহান্নাম ইত্যাদি।  এই গভীর সত্যগুলোকে না দেখে মেনে নেওয়া এবং নবী এগুলোর ওপর যে সংবাদ দিয়েছেন বলে তার খবরের সত্যতার প্রতি আস্থা রেখে এগুলোকে মেনে নেওয়া হচ্ছে ঈমান বিল গায়েব বা অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন।

সালাত কায়েম করাঃ

ইকামতে সালাত বা নামাজ কায়েম করা একটি ব্যাপক ও পূর্ণ অর্থবোধক পরিভাষা এ কথাটি অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।  এর অর্থ কেবল নিয়মিত নামাজ পড়া নয় এবং সামস্তিক ভাবে নামাজের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্টিত করাও এর অর্থের অন্তর্ভুক্ত।  যদি কোন লোকালয় ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি নিয়মিত নামাজ পড়ে থাকে কিন্তু জামাতের সাথে এই ফরজটি আদায় করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সেখানে নামাজ কায়েম আছে এ কথা বলা যাবে না।

সংকীর্ণমনা ও অর্থলুপ পরিহার করাঃ

সংকীর্ণমনা ও অর্থলুপ করে মানুষকে হতে হবে আল্লাহ ও বান্দার অধিকার আদায় কারি। তার সম্পদে আল্লাহ ও বান্দার যে অধিকার স্বীকৃত হয়েছে তাকে তা আদায় করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  যে বিষয়ের ওপর সে ঈমান এনেছে তার জন্য অর্থনৈতিক ত্যাগ স্বীকার করার ব্যাপারে সে কোন রকম ইতস্ত করতে পারবে না।

মহান আল্লাহর অহির প্রতি বিশ্বাসঃ

আল্লাহ গভীর মাধ্যমে মোঃ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পূর্ববর্তী নবীগণের ওপর বিভিন্ন যুগে ও বিভিন্ন দেশে যেসব কিতাব নাযিল করেছেন সেগুলো সত্য বলে মেনে নিতে হবে।

আখেরাতের প্রতি বিশ্বাসঃ

আখেরাত একটি ব্যাপক ও পরিপূর্ণ অর্থবোধক শব্দ।  আকিদা ও বিশ্বাসের বিভিন্ন উপাদানের সমষ্টির ভিত্তিতে এই আখেরাতের ভাবধারা গড়ে উঠেছে। একজন ব্যক্তিকে মুত্তাকী হতে হলে অবশ্যই তাকে আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।


No comments

Powered by Blogger.