Header Ads

Header ADS

দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ আমল

দোয়া হচ্ছে একটি এবাদত। আবার দোয়াকে এবাদতের মূল ভিত্তি বলা হয়েছে। আর এই দোয়া কবুলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় ও স্থান রয়েছে। সেই স্থান এবং সময়ে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। মানুষের দোয়া কবুলের জন্য এমন কিছু নেক আমল রয়েছে যেগুলো প্রত্যেক মুসলমানেরই জানা থাকা উচিত। তাই দোয়া কবুলের জন্য অবশ্যই নেক আমল গুলো করা উচিত এবং তারপরে দোয়া করা যাতে করে দোয়াগুলো আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় ভুল ভাবে দোয়া করার কারণে দোয়া কবুলের পরিবর্তে মানুষ গুনাহ করে থাকে।  যা কারো কাম্য নয়। তাই দোয়া কবুলের কিছু নেক আমল এবং উছিলা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা

প্রথমে পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে যতটুকু সম্ভব তেলাওয়াত করবে, তারপর মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করবে। পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট কোনো আয়াত তেলাওয়াত করতে হবে এমনটি নয়।  যে কোন অংশ তেলাওয়াত করা যেতে পারে।  সব থেকে ভালো হয় তেলাওয়াত করার পরে অর্থগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া।

দোয়া কবুলের আমল

১। দিনে বা রাতে যেকোনো সময়, সময় পেলে নফল নামাজ পড়ে মহান আল্লাহতালার দরবারে দোয়া করা।

২। নফল রোজা রেখে দোয়া করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৩। ইফতারের পূর্বে ইফতারকে সামনে রেখে দোয়া করা।

৪। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান সদকা করার পরে আল্লাহর দরবারে দোয়া করা।

দোয়া কবুলের দোয়া

হে আল্লাহ! আমার নামাজ,  আমার রোজা,  আমার কোরআন খতম  বা কোরআন তেলাওয়াত, আমার দান সদকার উসিলায় আমার দোয়াকে কবুল ও মনজুর করে নিন। আমার সকল সমস্যা ও প্রয়োজন মিটিয়ে দিন। আমাকে সুস্বাস্থ্য দান করুন। আমাকে মাফ করুন,  আমার উপর রহম করুন,  আমাকে আপনার দিনের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন। এবং আমার রিজিকে বৃদ্ধি করে দিন ইত্যাদি।

দোয়া কবুলের সময়

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শেখানো দোয়া গুলোকে ঠিক রেখে এমন কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে যে সময়ে দোয়া করলে দোয়া গুলো কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

আরো জানুন > কবর জিয়ারতের সঠিক নিয়ম

ক) ভোর রাতে দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।  তাই তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে দোয়া করা যেতে পারে।

খ) যেকোনো নামাজের সেজদার সময়ের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

গ) ইফতারের পূর্বে ইফতারকে সামনে রেখে দোয়া করা এই সময়ে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।

ঘ) মুসাফির অবস্থায় দোয়া করা অর্থাৎ সফরে থাকাকালীন সময়ে দোয়া করা যেতে পারে।

ঙ) আযানের পরে এবং একামতের পূর্বে দোয়া করার সময়।  এই সময়ে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক।

চ) জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবার আসরের নামাজের পর এবং মাগরিবের নামাজের পূর্বে যে সময়টা এই সময়ের মধ্যে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

উপরের লিখিত পদ্ধতিতে এবং সময়ে মহান আল্লাহর দরবারে ভিক্ষুক ও কাঙ্গালের ন্যায় আল্লাহকে হাজির-নাজির জেনে দোয়া করতে হবে।  তাহলে মহান আল্লাহর সুবহানা তায়ালা এই দোয়াকে কবুল করলে করতেও পারেন।  মুসলিম উম্মার সবাইকে সঠিক পদ্ধতিতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করার তৌফিক দান করুন আমীন।  আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।

No comments

Powered by Blogger.