Header Ads

Header ADS

কবর জিয়ারতের দোয়া ও নিয়ম

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতের মধ্যে একটি সেটি হল কবর জিয়ারত করা। কবর জিয়ারত করলে মানুষের অন্তরে মৃত্যু ও পরকালের ভয় উদিত হয়। আখেরাতের প্রতি একটা আকুতি তৈরি হয়। গুনা অন্যায় অশ্লীলতা,বেহায়াপনা ত্যাগ করার মানসিকতা তৈরি হয়। মানুষ দ্রুত সত্যের দিকে অগ্রসর হয়। সৎ এবং ভালো কাজ করার উন্নত মানসিকতা তৈরি হয়। নিয়মিত কবর জিয়ারতের বান্দা ধীরে ধীরে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে থাকে। তাই ইসলামের প্রথম অবস্থায় কবর জিয়ারতের অনুমতি না থাকলেও পরবর্তীতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কবর জিয়ারতের অনুমতি প্রদান করেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে মানা করেছিলাম। এখন থেকে তোমরা কবর জিয়ারত কর। কারণ তা দুনিয়ার প্রতি আকাঙ্ক্ষা দূর করে, আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ইবনে মাজাহ-১৫৭১।

কবর জিয়ারতের আহকাম

পুরুষদের জন্য কবর জিয়ারত করা মুস্তাহাব। নারী যুবতী হলে তার জন্য কবরস্থানে যাওয়া জায়েজ নেই।  তবে বৃদ্ধ হলে কান্নাকাটি, মাতম ইত্যাদি শরীয়ত বিরোধী কাজ করবে না।  এরুপ একিন থাকলে সাজসজ্জা না করে খুশবু না মেখে পর্দার সাথে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে অত্যন্ত একবার কবর জিয়ারত করা মুস্তাহাব। শুক্রবার কবর জিয়ারত করা অধিক উত্তম।  বৃহস্পতিবার, শনিবার এবং সোমবারও কবর জিয়ারত করা উত্তম।

কবর জিয়ারতের দোয়া

কবরস্থানে প্রবেশ করবে এরপর সমস্ত কবরবাসীর উদ্দেশ্যে নিম্ন বাক্যে সালাম দিবে

অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর জিয়ারত করতে গিয়ে এই দোয়াটি করেছেন

কবর জিয়ারতের দোয়া বাংলা উচ্চারণ

আসসালামু-আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর, ইয়া-গফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাইকুম,আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল-আসার।

উচ্চারণঃ আসসালামু-আলাইকুম দারা-কাউমিম মুমিনিন ওয়া-ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুমলাহিকুন।

কবর জিয়ারতের বাংলা অর্থ

হে কবরবাসী!  তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।  আল্লাহ সুবহানাতায়ালা  আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন।  তোমরা আমাদের আগে কবরে পৌঁছেছ। আমরা পরে আসবো।  আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)  মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দোয়া পড়তেন।  তিরমিজি-১০৫৩।

আরো জানুন > জানাজার নামাজের সঠিক দোয়া

বাংলা অর্থঃ হে মুমিন সম্প্রদায়ের আবাসস্থলের অধিবাসীগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক,  আমরাও আল্লাহর সাহায্য তোমাদের সাথে মিলিত হব।  আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য শান্তির আবেদন করছি। অতঃপর যার জন্য কবরে জিয়ারত করা হচ্ছে  সেই মৃত ব্যক্তির পায়ের দিক থেকে চেহারার (কেবলার) দিকে যেয়ে দাঁড়াবে বা বসবে। বসলে জীবিত অবস্থায় তার সাথে জেরুক সম্পর্ক ছিল সে অনুযায়ী নিকটে বা দূরে বসবে। এরপর দুরুদ শরীফ, সুরা ফাতেহা,  সূরা ইখলাস,  আয়তাল কুরসি পাঠ করবে।  এছাড়া আপনার যে সূরাগুলো মুখস্ত আছে যেগুলি সহজ মনে হয় সেগুলি পড়ে কবরবাসীর জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবেন।

No comments

Powered by Blogger.