মেয়েদের ফরজ গোসলের নিয়ম
নারীর ফরজ গোসলের নিয়ম
ইসলামের দ্বিনের সঠিক বুঝ না থাকার কারণে অনেক নারী এবং তরুণীরা ফরজ গোসলের নিয়ম জানেনা। এই ফরজ গোসলের নিয়ম না জানার কারণে যেন-তেন অবস্থায় গোসল করে থাকে। এভাবে গোসল করার কারণে তাদেরকে নাপাকি অবস্থায় থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই নাপাকি অবস্থায় তারা এবাদত করে থাকে। যা ঈমানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভয়ানক ব্যাপার। কাজেই আমাদেরকে এ থেকে উত্তরণ হওয়া উচিত।
নারীর ফরজ গোসলের কারণ
ক) স্বপ্নদোষ কিংবা উত্তেজনবশত বীর্যপাত হলে।
খ) নারী পুরুষের মিলন হলে সাই বীর্যপাত হোক আর না হোক।
গ) তরুণীদের হায়েস হলে।
ঘ) নেফাস অর্থাৎ সন্তান প্রসবের পর রক্তক্ষরণ হলে গোসল ফরজ হয়।
ঙ) অন্য কোন ধর্মের নারী ইসলাম গ্রহণ করলে অর্থাৎ নব্য মুসলিম হলে। এই বিষয়ে এখতেলাব রয়েছে।
নারীর গোসলের ফরজ তিনটি
১। কুলি করা রোজাদার না হলে গরগরা করা।
২। ভালো মত নাগ পরিষ্কার করা যাতে করে নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছায়।
৩। সমস্ত শরীর ভালোভাবে ধৌত করাযাতে করলে শরীরের কোন অংশ পানি পৌঁছানো বাকি না থাকে।
উপরের বর্ণিত তিনটি কাজ করলেই গোসল হয়ে যাবে। তবে গোসলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতি তরিকা রয়েছে, যদি সুন্নতি তরিকাগুলো ফলো করে গোসল করা হয় তাহলে তা এবাদত হিসেবে গণ্য হবে।
নারীর ফরজ গোসলের সুন্নতি তরিকা
> পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করছি মনের মধ্যে এই ইরাদা থাকতে হবে।
> এরপর অজু করে নেবে।
> ওযু করার পর মাথায় তিনবার পানি ঢালবে।
> তারপরে ডান কাঁদে তিনবার পানি ঢালবে।
> এরপরে বাম কাঁধে তিনবার পানি ঢালবে।
> এরপরে সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছাতে হবে যাতে করে একটি অসম শুকনো না থাকে।
> গোসলের সমস্ত কাজ শেষ হয়ে গেলে গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ভালোভাবে ধুয়ে নেবে।
অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে মহিলাদের সমস্ত চুল গুলো ভালোমতো ভিজে যায়। এই তরিকায় গোসল করার পরে নতুন করে আর অজু করার প্রয়োজন নেই গোসল শেষে তারা নামাজ আদায় করতে পারবে। আল্লাহ সুবাহানাতালা আমাদেরকে কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন আমীন।
No comments
Post a Comment