Header Ads

Header ADS

যোহরের নামাজ মূলত কয় রাকাত

মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা, তার বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে তার মধ্যে একটি নামাজ উৎস জহির নামজ, এই নামাজের ওয়াক্ত সাধারণত কি ভোরের পরে শুরু হয়। এখানে আমরা যোহরের নামাজ কয় রাকাত,যোহরের নামাজের শেষ সময়, যোহরের নামাজের সময়,যোহরের নামাজের নিয়ম, বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। দিনের শুরুতেই আসে ফজরের নামাজ এর পরেই শুরু হয় জোহরের নামাজের সময়। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢেলে পড়ার পর থেকেই যোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়।

যোহরের নামাজ কয় রাকাত

যোহরের নামাজ সর্বমোট ১২ রাকাত, প্রথমে চার রাকাত সুন্নত, তারপর চার রাকাত ফরজ,  এরপর চার রাকাত সুন্নত,  এবং সর্বশেষ দুই রাকাত নফল আদায় করতে হয়। দুই রাকাত নফল নিজের ইচ্ছাধীন পরলে সওয়াব হবে না পড়লে কোন গুনাহ নেই।

আব্দুল্লাহ ইবনে মোহাম্মদ আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত।  তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামাজে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন,  আমরা তা নির্ণয় করেছি।  আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে,  তিনি যোহরের নামাজের প্রথম দুই রাকাতে ৩০ আয়াত পাঠ করার পরিমান সময় দাঁড়াতেন,  যেমন সূরা আলিফ লাম মিম আস সাজদা ইত্যাদি।  এবং শেষ দুই রাকাত তিনি প্রথম দুই রাকাতের চাইতে অর্ধেক পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন।  তিনি জোহরের শেষ দুই রাকাত যতক্ষন দাঁড়াতেন আসরের প্রথম দুই রাকাতও ততক্ষণ দন্ডায়মান থাকতেন।  তিনি আসরের শেষ দুই রাকাত তার প্রথম দুই রাকাতের অর্ধেক পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন। সহি মুসলিম,  নাসাঈ,  আবু দাউদ-৮০৪।

আরো জানুন > নামাজে ভুল হলে পুনরায় করতে হবে না

হযরত আবু বারজাতুল আসলামী (রাঃ) বলেন,  নবী করিম (সাঃ) এমন সময় ফজরের নামাজ আদায় করতেন যখন আমাদের একজন অপরজনকে চিনতে পারতো।  হুজুর (সাঃ) ফজরের নামাজে 60 থেকে 100 আয়াত তেলাওয়াত করতেন এবং যোহরের নামাজ সূর্য ঢলে পড়লে আদায় করতেন।  আর আসরের নামাজ এমন সময় আদায় করতেন,  বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে আমাদের যে কেউ নামাজ শেষে মদিনার শেষ প্রান্তে যেতে পারতো।  তখন ও সূর্যের রং অপরিবর্তিত থাকতো।  আবু মেনহাল (রাঃ) বলেন, মাগরিব সম্পর্কে আবু বারজা  (রাঃ)  কি বলেছেন তা আমি ভুলে গেছি।  আর এশার নামাজ রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরি করাতে কোন উৎকণ্ঠা বোধ করতেন না। তারপর বলেন রাত্রি মধ্যভাগ পর্যন্ত দেরি করাতে উৎকণ্ঠা বোধ করতেন না। রাবি শো,বা বলেন আমি আবু মিনহালের সাথে পরে সাক্ষাৎ করলে তিনি এর তৃতীয় অংশের কথাই বলেছেন। সহি বুখারী-৫১৪।

যোহরের নামাজের শেষ সময়

প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তাঁর আসল ছায়া বাদ দিয়ে, তার দ্বিগুণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যোহরের নামাজের ওয়াক্ত বিদ্যমান। কিন্তু এক গুণের মধ্যে পড়া উত্তম।

যোহরের নামাজের নিয়ম

যোহরের নামাজ পড়ার জন্য আলাদা কোন নিয়ম নেই।  সাধারণত অন্যান্য ওইয়াক্তে যেভাবে নামাজ পড়া হয় জোহরের নামাজ ও সেই একই ভাবেই পড়তে হবে।  প্রথমে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবে পরে সম্ভব হলে জামাতের সাথে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার পর,  আবার দুই রাকাত সুন্নত এবং শেষে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে।  চার রাকাত সুন্নত নামাজে অন্যান্য নামাজের নিয়ত করে,  ছানা পড়বে এবং ছানা পড়ার পর সূরা ফাতেহা এবং পরে অন্য যে কোন একটি সূরা পড়ে রুকু সিজদা করে দাঁড়িয়ে যাবে পরে আবার দ্বিতীয় রাকাত পূর্বে নয় আদায় করবে,  দ্বিতীয় রাকাতে বসে দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে,  এখানে শুধুমাত্র সূরা ফাতেহা পাঠ করবে অন্য কোন সূরা পড়তে হবে না, ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে তবে সুন্নত হলে পূর্বের ন্যায় আরেকটি সূরা পাঠ করতে হবে। এভাবে রুকু সিজদা করে চতুর্থ রাকাতেও শুধুমাত্র সূরা ফাতেহা পাঠ করবে ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে তবে সুন্নত হলে পূর্বের ন্যায় আরেকটি সূরা পাঠ করতে হবে তারপরে শেষ বৈঠক করে নামাজ শেষ করবে।

No comments

Powered by Blogger.