Header Ads

Header ADS

জুমার নামাজ কত রাকাত ও জুমার নামাজের নিয়ত

জুমার নামাজের নিয়ত,জুমার নামাজ কত রাকাত,জুমার নামাজ মোট কত রাকাত,জুমার নামাজের নিয়ম,জুমার নামাজের ইতিহাস,জুমার নামাজের ফজিলত, এই সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ

জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।  যা সপ্তাহে একদিন মুসল্লিগণ একত্রে আদায় করে থাকে, এই নামাজটি একা কি আদায় করা যায় না জামাতবদ্ধ হয়ে আদায় করতে হয়।নামাজের পূর্বে ওসিয়ত মূলক খুতবা শুনতে হয়,  এই খুতবা শুনাটা ওয়াজিব। জুমার নামাজের মাধ্যমে এক বছরের পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। কিন্তু এই জুমার নামাজ কিভাবে পড়তে হয় কয় রাকাত পড়তে হয়, এই নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মই বা কি?

জুমার নামাজের নিয়ত

পূর্বে বহুবার আলোচনা করেছি নিয়ত হচ্ছে মনের ইরাদা,  জুমার নামাজ পড়ার পূর্বে অবশ্যই নিয়ত করতে হবে অর্থাৎ মনের ইরাদা থাকতে হবে। কেউ যদি জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে চায় তাহলে এভাবে নিয়ত করবে আমি কেবলামুখী হয়ে এই ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়িতেছি আল্লাহু আকবার  এটা মনে মনে ইরাদা থাকলেই হয়ে যাবে।

জুমার নামাজ কত রাকাত

জুমার নামাজ দুই রাকাত ফরজ যা ইমামের পিছনে আদায় করতে হয়। এই দুই রাকাত নিয়ে কোন মতপার্থক্য নেই। তবে এই দুই রাকাত ফরজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমার চার রাকাত সুন্নত এবং পরে চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়।  অনেকেই জুমার নামাজ ১০ রাকাত বলেছেন। আবার কেউ কেউ জুমার নামাজের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নত আদায় করে থাকে। তবে বেশি সংখ্যক মুসল্লিগণ ফরজের পূর্বে রাকাত চার রাকাত সুন্নত এবং পরে চার রাকাত সুন্নত মোট ১০ রাকাত নামাজ আদায় করে থাকে। যোহরের নামাজের পরিবর্তে মূলত এই জুমার নামাজ পড়া হয়ে থাকে।  কেউ যদি জুমার নামাজ পড়তে না পারে তাহলে তাকে যোহরের নামাজ অবশ্যই আদায় করতে হবে।

জুমার নামাজের ফজিলত

জুমার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন: হে ওইসব লোক, যারা ঈমান এনেছো, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য তোমাদের ডাকা হয় তখন আল্লাহর জিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য বেশি ভালো যদি তোমাদের জ্ঞান থাকে।  তারপর যখন নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন ভূপৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো।  এবং অতীত মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো।  আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। সূরা যুমা-  নয় এবং ১০

জুমার নামাজের ইতিহাস

জুমা কথাটি প্রকৃতির পক্ষে একটি ইসলামী পরিভাষা। জাহিলি যুগে আরবের অধিবাসীরা এঁকে ইয়া মে আরোবা বলতো। ইসলামী যুগে এই দিনটিকে মুসলমানদের সমাবেশের দিন হিসেবে নির্ধারিত করে এর নাম দেওয়া হয়েছে জুমা।  ঐতিহাসিকগণ যদিও বলেন যে,  কা বিনে লোহাই কিংবা উষাই ইবনে কিলাবাও একদিনের জন্য এই নাম ব্যবহার করেছিল। কারণ ওই দিনেই তারা কোরাইশদের লোকজনের সমাবেশ করতেন ( ফাতাহুল বারি)  কিন্তু তার এই কাজ দ্বারা প্রাচীন এই নামের কোন পরিবর্তন হয়নি। সত্যিকার অর্থে নামের পরিবর্তন হয় তখন যখন ইসলামী যুগে এর নতুন নাম রাখা হয়।  ইসলামের পূর্ব যুগে সপ্তাহে একটি দিনকে এবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা এবং তাকে জাতির প্রতীক হিসেবে নির্ধারিত করার রীতি আহলে কিতাবদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। ইহুদীরা শনিবার দিনটিকে নির্ধারিত করেছিল।  কারণ আল্লাহ তাআলা এদিন এই বণিক ইসরাইল জাতিকে ফেরাউনের গোলামী থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। খ্রিস্টানরা নিজেদেরকে ইহুদিদের থেকে আলাদা করে দেখানোর জন্য রবিবার দিনকে তাদের জাতীয় প্রতীক হিসেবে নির্ধারিত করে। যদিও এই সম্পর্কিত কোন নির্দেশ না হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম দিয়েছিলেন না ইনজিল তথা বাইবেলে এর কোন উল্লেখ আছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও হযরত আনসারী বর্ণনা থেকে জানা যায়,  হিজরতের কিছুকাল পূর্বে পবিত্র মক্কাতেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর জুমা ফরজ হওয়ার বিধান নাযিল হয়।  কিন্তু সে সময় তিনি এই নির্দেশের ওপর আমল করতে পারতেন না।  কারণ মক্কায় সামষ্টিক কোন এবাদত করা সম্ভব ছিল না।  তাই যেসব লোক নবীর আগে মদিনায় হিজরত করেছিলেন তিনি তাদের নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন যে,  তারা যেন সেখানে কায়েম করে।  অতএব প্রথমদিকে হিজরত কারীদের নেতা হযরত নিয়ে মদিনায় সর্বপ্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। (তাবারানী দারু কুতনি)

আরো জানুন > যোহরের নামাজ কয় রাকাত

No comments

Powered by Blogger.